সামাজিক দূরত্ব নিয়ে শংকা

মোরেলগঞ্জে দেড় লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবে সাইক্লোন শেল্টারে

মশিউর রহমান মাসুম,মোরেলগঞ্জ

আপডেট : ০৩:০২ পিএম, মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০২০ | ৬৫৫

করোনা যুদ্ধের মধ্যেই সুপার সাইক্লোন আম্ফানের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৩৩ টি সাইক্লোন শেল্টার ও ১৫০টি পাঁকা ভবন মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় দেড় লাখ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। তবে, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা নিয়ে শংকা রয়েছে।

সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এ উপজেলায় লোক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। সুপার সাইক্লোন আম্ফান মোকাবেলা ও ক্ষয় ক্ষতি কমাতে পুলিশ, আনছার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, গ্রাম পুলিশ ও স্কাউটস সদস্যদের সমন্বয়ে ১০ দ্রুত উদ্ধারকারি দল গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ১৭টি।

কোষ্টগার্ড মোরেলগঞ্জ কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. ফরহাদুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ৭নং বিপদ সংকেত ঘোষণার পরেই পানগুছি নদীতে সার্বক্ষনিক চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। কয়েকটি সমুদ্রগামী ট্রলার ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে নদীর তীরবর্তী কুমারখালী, সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, কাঠালতলা, গাবতলা, বদনীভাঙ্গা, পাঠামারা, সানকিভাঙ্গা, বারইখালী, শ্রেণিখালী, বহরবুনিয়া, ফুলহাতা, ঘষিয়াখালী, শোনাখালী, দেবরাজ, নতুন বাজার, মিস্ত্রীডাঙ্গা, হেড়মা ও মোরেলগঞ্জ সদর বাজারসহ কমপক্ষে ২৫টি গ্রাম অধীক ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ঝড়ের ক্ষয় ক্ষতি কমাতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১০০ মন মুড়ি, ২৭ মন চিড়া, ৬০ মন চিনি মজুদ করা হয়েছে। সকল আশ্রয় কেন্দ্রে করোনা প্রতিরোধক সরঞ্জামও মজুদ করা হয়েছে।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড় সিডর’র আঘাতে মোরেলগঞ্জে ৯৩ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত