শরণখোলায় বাসের চাপায় স্কুলছাত্রী নিহত, আহত-৫

শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে সুমাইয়া আক্তার (১১) নামের এক স্কুল ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরবর্তীতে সমঝোতার মাধ্যমে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপুরণের আশ্বাস দিলে প্রায় ৪ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সড়কের গাজির ব্রিজ সংলগ্ন আলতাফ আকনের বাড়ির সামনে শিক্ষার্থীবাহী একটি মোটর চালিত ভ্যানে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি বাসে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সুমাইয়া মারা যায়।

এঘটনায় আরো চার শিক্ষার্থী ও ভ্যান চালক গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত স্কুল ছাত্রী উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ছোট নলবুনিয়া গ্রামের আ. আউয়াল তালুকদারে মেয়ে। সে ১১০ নম্বর নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পরই পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান স্বপন জানান, ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ রুটে চলাচলকারী লোকাল পরিবহণের সমস্ত বাস বন্ধ করে দেয়। শত শত মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরবর্তীতে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে আমড়াগাছিয়া বাজারে বৈঠকে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। বৈঠকে নিহত’র পরিবারকে দায়ী বাস মালিক রিয়াজ আকন ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলে চার ঘন্টা পর দুপুর ২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। এর পর থেকে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় জন শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণির মডেল টেষ্ট পরীক্ষা দিতে ভ্যানযোগে আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাচ্ছিলো। এমন সময় বিপরিত দিক থেকে ঢাকা-ব-১০১৩ নম্বরের একটি যাত্রীবাহী বাস শিক্ষার্থীদের বহনকারী ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এসময় চাকার নিচে পড়ে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। এঘটনায় রাব্বি, মহসিন, রহিম, বাদশাসহ চার শিক্ষার্থী ও ভ্যানচালক ইলিয়াস তালুকদার (২০) গুরুতর আহত হয়। আহতদের শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, সুমাইয়ার লাশ হাসপাতালে পুলিশের তত্বাবধানে রয়েছে। ময়না তদন্ত না করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিবাবকদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।