অশ্বিনী গোসাইয়ের শেষ বংশধর প্রমথ’র করুণ আকুতি

চিতলমারীর গঙ্গাচন্নায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৫:২৫ পিএম, মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট ২০২০ | ৫৮০

চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের গঙ্গাচন্নায় সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ দু’পক্ষের আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় আশ্রমের ভক্তবৃন্দের কাছে অশ্বিনী গোসাইয়ের শেষ বংশধর প্রমথ রঞ্জন পোদ্দার করুণ আকুতি জানিয়েছেন। তবে আশ্রমের সভাপতি ঘটনার পর থেকে এটাকে বিছিন্ন ঘটনা বলে দাবী করে আসছেন।

পুলিশ, এলাকাবাসি ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, গঙ্গাচন্না অশ্বিনী গোসাইয়ের আশ্রমের কমিটি ও জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ৭ আগষ্ট দুপুরে স্থানীয় শান্তি গোলদার ও কামিনী শিকদার গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে শান্তি গোলদারের ছেলে শিপন গোলদার (১৭) ও কামিনীর ভাই কুবের শিকদার (৫০) গুরুতর আহত হয়। এরা দুইজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শান্তি গোলদার ও কামিনী শিকদার বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে থানায় দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন।

অশ্বিনী গোসাইয়ের পৌত্র (ভাইপোর ছেলে) প্রমথ রঞ্জন পোদ্দার কান্না জড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আমার ছেলেরাই অশ্বিনী গোসাইয়ের শেষ বংশধর। এই আশ্রমের জন্য কি-না করেছি। শেষ সম্বল বসতভিটের ১৩ শতক আশ্রমে দিয়েছি। কিন্তু ওরা চালাকি করে ২১ শতক নিয়েছে। তারপরও মনপ্রাণ দিয়ে আশ্রম ও ভক্তবৃন্দের সেবা করে যাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে কিছু দুষ্টু লোক আমাদের ৪ পরিবারকে তাড়িয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এখন আমাদের উপর হামলা ও মামলা হচ্ছে। আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাচতে অশ্বিনী গোসাইয়ের ভক্তবৃন্দের কাছে করুণ আকুতি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে আশ্রমের সভাপতি কপিল কৃষ্ণ মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, এ সমস্ত ঘটনার সাথে আশ্রমের কোন যোগসাজস নেই। এ গুলো বিছিন্ন ঘটনা।

তবে মঙ্গলবার দুপুরে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, গঙ্গাচন্না অশ্বিনী গোসাইয়ের আশ্রমের কমিটি ও জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে সংঘর্ষে দু’পক্ষের দুইজন আহত হয়। থানায় পৃথক দুইটি এজহার মামলা হিসেবে রুজ্জু করা হয়েছে। মামলার পর পুলিশ দু’পক্ষের আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত