মোড়েলগঞ্জের বি.কে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ

শুভংকর দাস বাচ্চু

আপডেট : ০৬:০৮ পিএম, বুধবার, ১২ আগস্ট ২০২০ | ২১৮৯

মোড়েলগঞ্জের বি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগে অর্থ-বানিজ্য,ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহন সহ নানা বিধ অভিযোগ উঠেছে। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বনগ্রাম ইউনিয়নের কড়াবৌলা গ্রামের বিধান চন্দ্র গাইন বলভদ্রপর বি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে। এদেশ থেকে চাকুরি করে ও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বানিজ্য সহ বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে ভারতে পাচার করছে। ভারতের হুগলি জেলার চুচুড়ামগরা ব্লকের অন্তর্গত কুলিহান্ডা এলাকায় পরিবারের সকলেই ভারতের ভোটার হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

বনগ্রাম ইউনিয়নের কড়াবৌলা এলাকার ০৯২৮ নং কোডে ৪১ নং সিরিয়ালে ০১০৯২৮৭৬০৮২৪ নং ভোটার বিধান চন্দ্র গাইন,১৪৪ নং সিরিয়ালে ০১০৯২৮৭৩০৮১৪ নং ভোটার স্ত্রী মালতী রানী বিশ্বাস সহ পিতা মাধব গাইন, মাতা রেনু রানী বাংলাদেশের ভোটার তালিকার নাম পরিবর্তন করে ভারতের (এস.২৫) পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালের নির্বাচক তালিকায় চুচুড়া(সাধারন) বিধানসভা নির্বাচন ক্ষেত্রের ১৬২ নং অংশে ৬৭ নং সিরিয়ালে সি.এইচ.কে ০৬৭৬৪৮৬ নং ক্রমিকে নিজেকে বিভুতি ভুষন গাইন, ৬২ নং সিরিয়ালে সি.এইচ.কে ২৬৬৪৭৯৫ নং স্ত্রী শিপ্রা গাইন সহ পিতা মহাদেব গাইন, মাতা রেনুকা গাইন নাম দিয়ে ভোটার হয়েছেন। এদেশ থেকে চাকুরির বেতন সহ স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ ও এম.এল.এস.এস(গার্ড) নিয়োগে অর্থ বানিজ্য করে টাকা ভারতে পাচার করছে।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে অপু রানীর দায়ের করা ১৪৩/১৮ নং দেওয়ানী মামলায় ২৬৪/১৮ নং স্বারকে ২৭/০৯/২০১৮ইং তারিখ সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হয় ওই প্রধান শিক্ষক। তার পরিবার পরিজন নাগরিকত্বে ভারতে বসবাস করছে। অসুস্থ্যতার কারন দেখিয়ে ০৩ মার্চ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত অর্জিত ছুটি (সিএল) নিয়ে সে ভারতে যাতায়াত করে এসে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।

এছাড়া নেয়ামুল ইসলাম এম.এল.এস.এস (গার্ড) পদে চাকুরি আবেদনের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুরাগী সদস্য সাহাদাত হোসেন কাজীর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র গাইন এর সাথে যোগাযোগ হয়। পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে পারলে চাকরি হবে বলেন প্রধান শিক্ষক। নেয়ামুল ইসলাম চাকুরির আশায় বসত বাড়ির ৩ কাঠা জমি বিক্রয় করে দুই লক্ষ টাকা প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র গাইন এর কাছে অগ্রীম দেয় এবং তিন লক্ষ টাকা চাকরির পরে দেবার কথা হয়। ২২ শে জুলাই বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরিক্ষার পর নেয়ামুল ইসলামকে বাদ দিয়ে অধীক অর্থের বিনিময়ে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছে। টাকা ফেরত চাইলে সাহাদাত হোসেন কাজীর মাধ্যমে আজমল হোসেনের হাত থেকে ২৭ হাজার টাকা ২৩ শে জুলাই বাধাল বাজারে এসে ফেরত দেয়।

এব্যাপরে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম শেখের পুত্র নেয়ামুল শেখ গত ২৬ জুলাই শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, ঢাকা ও ৩ আগষ্ট দুর্নীতি দমন কমিশন খুলানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেছে।

শিক্ষা অনুরাগী সদস্য সাহাদাত হোসেন কাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে সে টাকার কথা বলেছে আমি বলছি আমার জামাই যাচ্ছে সে তোমার টাকা দিয়ে দিবে।


প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র গাইনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিদ্যালয়ের সভাপতি তার একক ক্ষমতার বলে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে ছিল। অন্য ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেলোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত