ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ঠিকাদারী কাজের শ্রমিকেরা বাস করছে

শরণখোলায় এক মাদ্রাসার ক্লাস রুম গুদোমঘর, চরাচ্ছে গরু

বাবুল সরদার

আপডেট : ০৯:৪৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০ | ৯৬০

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারনে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যার ব্যাতিক্রম হয়নি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় রায়েন্দা ইউনিয়নের পূর্ব খাদা গ্রামে অবস্থিত শরণখোলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটিও। সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিও। তবে অভিযোগ রয়েছে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে শ্রমিকদের থাকা ও মালামাল রাখার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

এখন সেখানে নির্মান শ্রমিকরা বাস করছেন। পাঠদানের ক্লাস রুমে কাঠ, বাঁশ ও বিভিন্ন মেশিনারী আসবাব পত্র বোঝাই করে রাখা হয়েছে। আবার কয়েকটি রুমে বাঁধা রয়েছে গবাদিপশু। শিক্ষার্থীদের একমাত্র প্রত্যাহিক সমাবেশের মাঠ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী। ম্যানেজিং কমিটির প্রভাবশালী ব্যক্তি সেখানে ওই সকল সামগ্রী রেখে ‘বানিজ্য’ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, সেখানে গরুর খামার, হোষ্টেল, বালু-খোয়া রাখার গোলা নাকি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তা কখনো দেখে বোঝার উপায় নেই। উপজেলা পরিষদের অদূরে শরণখোলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা। সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান, গোলাম মোস্তফা মধু, শরণখোলা সরকারী কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক সহকারী শিক্ষক, ঠিকাদার ব্যাবসায়ী এবং এ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। তার প্রশ্রয়ে এসব কর্মকান্ড চলছে। তার এই কর্মকান্ড দেখে সেখানকার প্রতিবেশীরাও পশু পালন শুরু করেছেন।

সেখানে বসবাস করা শ্রমিকরা জানান, তারা মধু স্যারের কাজ করেন এবং তিনি তাদেরকে এখানে থাকতে দিয়েছেন। এসময় প্রত্যাক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ মৃধা, আব্দুল হামিদ মৃধা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, জোর জার মুল্লুক তার। বছরের পর বছর মধু স্যার ঠিকাদারি কাজের বিভিন্ন মালামাল রেখে মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে পুরো মাঠ জুড়ে নির্মান সামগ্রী রাখায় মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সভাপতি যদি এসব কাজ করে তবে তাকে কে ঠেকাবে ?।

এ বিষয়ে চেষ্টা করেও গোলাম মোস্তফা মধুর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাকাওয়াত হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় সাময়িকভাবে ওই মালামাল গুলো রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত