অবৈধ করাতকল স্থাপন করে মালিক জেলে

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৫:৫৫ পিএম, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৯৬৪

সুন্দরবনের সন্নিকটে অবৈধভাবে করাতকল (স-মিল) স্থাপনের অপরাধে বনবিভাগের দায়ের করা মামলায় জেলে যেতে হলো কল মালিক নুরুল হক আকনকে। সোমবার বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত-১ (বন আদালত) এর বিচারক সমির মল্লিক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, বনসংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করেন দীর্ঘদিন ধরে কাঠ চেরাই করে আসছিলেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বকুলতলা গ্রামের আ. রশিদ আকনের ছেলে নুরুল হক আকন ওরফে নুরুল হক আড়ৎদার। এর পর ২০১৯ সালের ৩১ডিসেম্বর শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন এবং পূর্ব বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন মোবাই কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করে তা বন্ধ করে দেন। ওই সময় কল মালিকের বিরুদ্ধে করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা-২০১২ অনুযায়ী মামলা দায়ের করে বনবিভাগ। এর পর তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট আদালতে হাজির হয়ে অবৈধ করাতকল পরিচালনা না করার মুসলেকা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে অবৈধভাবে আবারো দুটি করাত কল স্থাপন করে কাঠ চেরাই শুরু করেন তিনি।

দ্বিতীয়বার আইন অমান্য করে কলাতকল স্থাপনের দায়ে সি-(বন) ২০/২০২০ এবং সি-(বন) ২১/২০২০ ধারায় আদালতে দুটি মামলা রুজু করে বন বিভাগ। ওই মামলায় সোমবার আদালতে হাজির হলে তার জামিন না মঞ্জুর করেন আদালত।

পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জনান, সুন্দবনের নির্ধারিত সীমানার মধ্যে যতোগুলো অবৈধ করাতকল আছে, সবগুলোই বন্ধ করা হবে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বন্ধ করার পরও আইন অমান্য করে অনেকে এখনো করাতকল পরিচালনা করছে। অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধ আবারও অভিযান চালানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত