মোংলাসহ সমুদ্র বন্দর সমুহের সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার

চারদিন পর মোংলা সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:৩৩ পিএম, শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৫৭৬

দীর্ঘ ৪দিন পর মৌসুমী লঘুচাপের প্রভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের সমুদ্র বন্দর মোংলা। যথারীতি চলছে পণ্য লোড-আনলোডের কাজ। শনিবারের সকালের পালা থেকে মোংলা বন্দর জেটিতে, বন্দরের হারবারিয়া এবং বেসক্রিক এলাকায় থাকা সার, পাথর, কয়লা ও (সিমেন্টের কাচামাল) ক্লিংকার বোঝাই ১৩টি দেশী বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস লোড-আনলোড করা হচ্ছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম মোস্তফা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, গত ৪দিনের টানা বৃষ্টির কারণে জাহাজে পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজ দিনের কিছু কিছু সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছিল। বর্তমানে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় কয়লা, সার ও কিংকারবাহী (সিমেন্ট তৈরির কঁচামাল) ও পাথরসহ ১৩টি দেশী-বিদেশি বানিজ্যিক জাহাজ বন্দরে অবস্থান করছে। বৈরী আবহাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস মারাত্মক ভাবে ব্যহত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে আবহাওয়া একটু ভালোর দিকে তাই সকালের পালা থেকে শ্রমিক জাহাজে গিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। তবে দুপুরের দিকে প্রায় তিন ঘন্টা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারনে কিছু সময় খালাস-বোঝাইয়ের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। আবহাওয়া সাভাবিক হওয়ার পর পুনরায় কাজ চালু করা হয়েছে।


তিনি আরো জানায়, দুপুরের পালায় কোন ভারী বৃষ্টিপাত না থাকায় এ সময় থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে চলছে বন্দরের অবস্থান করা জাহাজের পণ্য খালাস ও বোঝাই কাজ। এর আগে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মঙ্গলবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত দিনে-রাতে কিছু কিছু সময় মোংলা সমুদ্র বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড বিঘিœত হয়েছিল। বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় সকালের পালা থেকে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে একটানা ভারী বর্ষণে মোংলা বন্দর শহরের কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। তলিয়ে গেছিল শহরের অধিকাংশ এলাকার কাচাঁ রাস্তাঘাট, পুকুর ও চিংড়ী ঘেড়।

সকাল থেকে তেমন বৃষ্টি না থাকায় কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানি নামতে শুরু করলেও ঘের ও পুকুরের মাছ এক পুকুর ও ঘের থেকে অন্য ঘেরে চলে গেছে এবং কোন কোন জায়গায় ঘেরের মাছে মরক লেগেছে বলে চিংড়ী ঘের ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ করেছে।

তবে পুরো পুরি এ পানি শুকিয়ে না গেলে পুকুর ও ঘেড়ের মাছে মড়কের ব্যাপাওে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে কিছু বলতে পারছে না মোংলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা এ জেড এম তৌহিদুল ইসলাম। অপরদিকে দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার কারনে বনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নেয়া সাগরে ইলিশ ধরতে যাওয়া জেলেরা গত ৪দিন অলস সময় বসেছিল। এছাড়া সংকেত প্রত্যাহার করায় সাগর ও সুন্দরবনের পাশপারমীট নেয়া জেলেরাও মাছ ধরতে যাওয়া শুরু করেছে। গত টানা ৪দিন সাগর উত্তল থাকার কারনে টিকতে না পেরে প্রায় পাচঁ শতাধিক ইলিশ জেলে বনের উপকুলে বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত