কচুয়ায় মাদকাসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ

মামুন আহম্মেদ

আপডেট : ০৪:৫৫ পিএম, রোববার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৮ | ১১৪১

কচুয়া উপজেলার আড়িয়া মর্দন গ্রামে সিদ্দিক পাইক (২৫) নামের মাদকাসক্তের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (২২) কে নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়। তবে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। খাদিজা কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের শিরোখালী গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। তার ফাতেমা (৫) ও ইমান (৩) নামের দুটি সন্তান রয়েছে।

নিহত খাদিজার ভাই আবুবক্কর বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, নয় বছর আগে উপজেলার আড়িয়া মর্দন গ্রামের খলিল পাইকের ছেলে সিদ্দিকের সাথে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে সিদ্দিক আমার বোনের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। কিন্তু বোনের ঘরে দুটি সন্তান থাকার কারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলিনি। শনিবার রাতে সিদ্দিক খাদিজাকে বেদম মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে সিদ্দিকের পরিবারের লোকেরা খাদিজাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় সিদ্দিকের পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে খাদিজাকে রেখে পালিয়ে যায়। সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে মাদকে আসক্ত ছিল বলে তিনি জানান।


সিদ্দিকের প্রতিবেশী সেকেন্দার মোল্লা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিল। সে প্রায়ই তার স্ত্রী খাদিজাকে মারধর করত। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও সিদ্দিক তার বউকে মারধর বন্ধ করেনি। অবশেষে খাদিজাকে মেরে ফেলল।


বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোঃ মুশফিকার শামস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রোগীকে ফেলে রেখে স্বজনরা চলে যায়।


বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহাতাব উদ্দিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত