৩ঘন্টা চেষ্টার পর মোংলা ইপিজেডে সুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রনে

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ০৬:০৯ পিএম, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ | ৭৭১

মোংলা ইপিজেডে “ইপিজেডের গুয়াংজু হুয়াস্যাং সাইন্স এন্ড টেকনোলজি” নামের একটি সুতার কারখানার গোডাউনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বের) সকালের দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোঃ মাহাবুব আলম সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মোংলা ইপিজেড’র জি এম মাহাবুব আলম সিদ্দিকী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সোমবার (২৮) ডিসেম্বর সকালের পালায় শ্রমিকরা সুতার কারখানায় কাজ করছিলো। এসময় খবর আসে গুয়াংজু হুয়াস্যাং সাইন্স এন্ড টেকনোলজি এ ফ্যাক্টরীর সুতা ও তুলার গোডাউন থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়। এর পরই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের ইপিজেড, নৌ বাহিনী, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাগেরহাটসহ চারটি ইউনিট। পরে সাড়ে ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসলেও তুলার বান্ডেলের ভিতরে কিছু কিছু জায়গায় এখনও আগুন জলে উঠছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাচ্ছে ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

আগুনের সুত্রপাত কিভাবে হয়েছে সেটি এখনও পুরোপুরি নির্ণয় করা যায়নি। তবে এ ঘটনায় ইপিজেড কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি করেছে। তাদের তদন্তের পরই জানা যাবে আগুনের সুত্রপাত কিভাবে হয়েছে বলে জানান জি এম মাহাবুব আলম সিদ্দিকী।

মোংলা থানার ওসি তদন্ত তুহিন মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, মোংলা থানার পুলিশসহ আগুন নেভাতে একাধিক টিম কাজ করছে। তুলার বান্ডেলের মধ্যে কিছুক্ষন পর পর আগুন জলে উঠে, তাই প্রায় সাড়ে ৩ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন এখন নিয়ন্ত্রনে। তার পরেও সুতা ও তুলার বান্ডেলের মধ্যে আগুন সম্পুর্ন নিভাতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) গোলাম সরোয়ার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, মোংলা ইপিজেড থেকে সুতার কারখানার গোডাউনে আগুনের খবর পেয়ে ইপিজেড ও মোংলা বন্দরের ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং বাগেরহাটসহ ৪টি ইউনিট একাত্রিত হয়ে কাজ করছে। আমরা সবাই সম্মিলিত ভাবে আগুন নেভানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে ইপিজেড এলাকায় পানির স্বল্পতা থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে একটু সময় বেশী লেগেছে।

এব্যাপারে ইপিজেড’র কমার্শিয়াল অপরেশন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম মিন্টু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সুতা ও তুলার গোডাউনে আগুনের ঘটনায় ৩টি সেট সম্পুর্ন পুরে গেছে। তাতে বিপুল পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নির্নয় করা সম্ভব হয়নি, তবে কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে এর প্রতিবেদন দাখিল করবে এ তদন্ত কমিটি। তার পরে জানা যাবে আগুন লাগার মুল কারন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।


ইপিজেডের গুয়াংজু হুয়াস্যাং সাইন্স এন্ড টেকনোলজি নামের একটি সুতার কারখানায় সাতজন চীনা নাগরিক ও বাংলাদেশের ৮০ জন শ্রমিক কাজ করত বলে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত