দলীয় মূল্যায়ন চান মোরেলগঞ্জে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা ইসমাইল

মোরেলগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন কাছ থেকে শুনেছেন, তাকে দেখেছেন, উদ্বুদ্ধ হয়েছেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখতে পেয়ে গর্বিত তিনি। সেই থেকে আজো তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বেঁচে আছেন।

জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশ মাতৃকার ৯নং সেক্টরের সুন্দরবন সাব সেক্টরে বৈধ্যমারি ক্যাম্পে একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন পাক সেনাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেও তালিকা ভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনি তিনি।

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই তালিকায় একাধিকবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়েও কাজে আসেনি। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শেখ আব্দুল আজিজের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসেছিলেন। পরবর্তীতে ডা. মোজাম্মেল হোসেন এমপি, বর্তমান এমপি এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন তাকে দলের একজন ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা হিসেবে চিনেন ও জানেন।

স্বাধীনতার পরবর্তী তিনি জিউধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । ১৯৭২ সালে রিলিফ কমিটির ভিলেজ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন ৩ বছর। ১৯৮০ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তার ওপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। হত্যা মামলা, ব্যাংকের টাকা ছিনতাইসহ একাধিক মিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্তরালে দিন কাটতে হয়েছে অসংখ্যবার। ১৭ বিঘা সম্পত্তি বিক্রি করতে হয়েছে মামলার পিছনে। গোয়াল ভরা ২৬টি গরু, ৯টি মহিষ লুট করে নিয়েছিলো সেদিনের সেই লুটকারিরা।

মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও আজকের প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা বাংলার জননী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের তাগিদ দিয়েছেন। সেলুট নেত্রী শেখ হাসিনাকে। আওয়ামীলীগের জন্য তার ত্যাগে মূল্যায়ন চান দলের কাছে। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিটি গ্রাম হবে শহর এ স্বপ্ন দেখছেন তিনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তার পরেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের কথা ভাবছেন তিনি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে এলাকার উন্নয়ন করতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেন।