কচুয়ায় সরকারী রাস্তার গাঁছ বিক্রি করছে একটি চক্র

কচুয়া প্রতিনিধি

আপডেট : ০৫:১৮ পিএম, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ | ১৯৯৯

সরকারী রাস্তার পাশের গাঁছ কেটে বিক্রি করছে

বাগেরহাটের কচুয়ায় সরকারী রাস্তার পাশের গাঁছ কেটে বিক্রি করছে গাছ খোকো একটি চক্র। কিছু অসাধূ ব্যাক্তির সাথে গোপনে আতাঁত করে কর্তৃপক্ষ এ গাঁছ বিক্রি করছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। এর আগে ও ওই চক্রটি বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া গাঁছ কেটে বিক্রি করলে এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বনবিভাগের টনক নড়ে। পরে আর্থিক লেন দেনের মাধ্যমে দফারফা হয়।

শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়রা পুনরায় গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ করলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে নুরু হাওলাদার ও ফিরোজ নামের দুজনকে গাছ বিক্রি করতে দেখা গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরু বলেন, আমার কাছে বনবিভাগের লিখিত আছে, এজন্য আমি গাছ বিক্রি করছি। সেখানে সামাজিক বন বিভাগ বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ এসএফএনটিসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিন্ময় মধু স্বাক্ষরিত একটি চিঠি উপস্থাপন করেন। ওই চিঠিতে গাছ কর্তন পুর্বক হেফাজতে রাখার নির্দেশ থাকা সত্বেও বিক্রির কোন অনুমতি নাই।

গাঁছ বিক্রির সাথে জড়িত বারইখালী গ্রামের নুরু হাওলাদার বলেন,৪শ২০ টাকা সিএফটি দরে গাছ বিক্রি করছি। কচুয়া-ফতেপুর সড়কের সকল গাছ আমি সুজন দিদারের কাছ থেকে কিনেছি। এজন্য আমি গাছগুলি বিক্রি করছি। এদিকে আলী হাসান দিদার সুজন হেফাজতে রাখার অনুমতি নিয়ে গাছ বিক্রি করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গাঁছ কেটে বিক্রির বিষয়ে আলী হাসান দিদার সুজন বলেন. গাছ নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিলো, বনবিভাগ আমার হেফাজতে দিয়েছে। আমি এখন এটা যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো। আমি টাকা সরকারের ঘরে জমা দিয়েছি। নুরুকে দিয়ে আমি গাছ গুলি কাটানোর ব্যবস্থা করছি। টেন্ডার ছাড়া গাঁছ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বনবিভাগ আমাকে গোপনে টেন্ডার দিয়েছে।

সামাজিক বন বিভাগ বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ এসএফএনটিসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিন্ময় মধু বলেন, গাঁছ কেটে স্টক করে রাখতে বলা হয়েছে। বিক্রি করতে বলা হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত