শরণখোলা হাসপাতালে করোনা উপসর্গে একজনের মৃত্যু

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৭:১১ পিএম, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১ | ৭৩৫

শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (৬এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে বমিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন মো. তাহের খান (৪৪) নামে এক ব্যক্তি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এসময় পরিচিত বা আত্মীয়স্বজন কাউকেই পাওয়া যায়নি তার কাছে।


নিহতের কাছে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্র সূত্রে জানা যায়, তাহের খানের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার চর হিজলা গ্রামে। বাবার নাম মৃত কেরামত আলী খান, মায়ের নাম শামর্তবান বেগম। ওই ব্যক্তি মারেফাত তরিকার হওয়ায় বিভিন্ন মাজার এবং তার একই তরিকার লোকদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন বলে জানা গেছে।


হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোবাহান নামে এক লোক অসুস্থ তাহেরকে দুপুর একটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তি রেজিস্ট্রারে তার মোবাইল নম্বরটিও রেখে চলে যান। এর পর কেউ তার কাছে আসেনি।

ওই মোবাইল ফোনে মোংলা উপজেলার জয়মনি গ্রামের সোবাহানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় তাহের খান তার বাসার সামনে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাকে বাসায় থাকতে দেন। রাতে কয়েকবার বমি করার পর আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকালে শরণখোলায় তার তরিকার খলিল সরদারের বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। পরে একটি টমটমে করে তাকে নিয়ে শরণখোলা হাসপাতাতে ভর্তি করা হয়। তার সঙ্গে থাকার একটি কৌটায় ৪হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও জাতীয় পরিচয় পত্র ছিল।


এব্যাপারে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের পানিরঘাট গ্রামের খলিল সরদার ওরফে খলিল ফকির বলেন, মৃত ব্যক্তি আর আমি একই তরিকার ভাই। এক সপ্তাহ তার বাড়িতে থাকার পর দুদিন আগে চলে যান। আমি তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি।


শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এইচ এম ফয়সাল আহমেদ জানান, মৃত লোকটির শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে, করোনাভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষার পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, মৃত্যু খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। এব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত