প্রশাসনের আড়াল হলেই মুখের মাস্ক চলে যায় থুতনিতে

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা 

আপডেট : ০৩:৪১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ | ৬৫৪

প্রশাসনের চোখের আড়াল হলেই স্বাস্থ্যবিধির ধার ধারে না কেউ। তখন মুখের মাস্ক চলে যায় থুতনিতে। অসচেতন মানুষ সামাজিক দুরত্ব ভেঙে ফিরে যায় স্বাভাবিক অবস্থায়। এমন ইঁদুর-বিড়াল খেলার মধ্য দিয়ে চলে বাগেরহাটের শরণখোলার লকডাউনের প্রথম দিন। হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৪জুন) থেকে ৩০জুন পর্যন্ত বাগেরহাট জেলার সকল উপজেলায় এই লকডাউন ঘোষনা দেয় জেলা প্রশাসন।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে খুলনা বিভাগসহ গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। এই বিভাগের জেলা-উপজেলাগুলোয় প্রতিদিনি হু হু করে বাড়ছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে মহামারি আকার ধারণ করবে করোনার সংক্রমণ। এজন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে গেলেও মানুষ তা মানতে নারাজ। ফাঁক পেলেই বিধি ভঙ্গের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ছে সবাই।

এদিকে, লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকেই মাঠে নামে শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন। শহরের প্রবেশ মুখে বেরিকেড দিয়ে বসানো হয় পুলিশি চৌকি। তারপরও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোভ্যান নিয়ে বের হয় যে যার মতো। তখন এদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায় প্রশাসন। উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব ক্ষুদ্র যানবাহনের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। যার সংখ্যা দুই শতাধিক। এছাড়া, নিয়ম ভেঙে দোকান খোলা রাখায় জরিমানাও করা হয় ব্যবসায়ীদের।


শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলার সর্বত্র প্রশাসনের তৎপরতা চলছে। আগের দিন বুধবার উপজেলার সবখানেই মাইকিং করে করোনারোধে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও লকডাউন বাস্তবায়নের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সবাই যেনো উদাসীন। এক এলাকায় অভিযান চললে অন্য এলাকায় নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করে মানুষ।

ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, আইন অমান্য করায় দুই শতাধিক ক্ষুদ্র যানবাহনের চাবি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া, সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত