মায়ের জন্য খাদ্য পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জাহিদ হাসান

এস এস সাগর

আপডেট : ০৮:৩১ পিএম, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১ | ২৫২১

হ্যালো, সাংবাদিক ভাই? হ্যাঁ, বলেন। ভাই, আমি কম্পিউটার ডিজাইনার জাহিদ হাসান। চিনতে পারছেন। ঘরে কিছু চাল ছিল। লকডাউনের এ কয়দিন মাকে নিয়ে খেয়েছি। কিন্তু আজ দুইদিন ধরে ঘরে কোন খাবার নেই। এখন বৃদ্ধা মাকে কি খায়াবো বলে মুঠোফোনের অপর প্রান্তে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন জাহিদ। আচ্ছা জুম্মার নামাজের পর আসেন। দেখি কি করা যায়।

জাহিদের বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের তরুণ সমাজ সেবক মোঃ মেহেদী হাসান সবুজের সাথে। সবুজ বললো ওনাকে পাঠিয়ে দেন। সবুজের কথামত বিকেলে জাহিদকে পাঠালাম তার কাছে। সবুজ তার হাতে তুলে দিলেন চাল, ডাল, তেল, আলু, আটা, লবন ও ডিম ভর্তি একটি বস্তা। মায়ের জন্য বস্তা ভর্তি খাদ্য পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন কম্পিউটার ডিজাইনার জাহিদ হাসান।

উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের পিতৃহারা জাহিদ হাসান বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, পঁচাত্তর বছর বয়সের মা সুফিয়া বেগমকে নিয়ে আমার বসবাস। কম্পিউটার ডিজাইনের কাজ করি। বাজারে ঘুরে ঘুরে ভিজির্টিং কার্ড, পোস্টার, হালখাতা, বিয়ের কার্ড ও শপিং ব্যাগের কাজে আমার সংসার চলে। কঠোর লকডাউনে সব কিছু বন্ধ। তাই আয়ও বন্ধ। গত দুইদিন আগে ঘরের খাবার ফুরিয়েছে। লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারিনি। শুক্রবার দুুপুরে জনপ্রিয় অনলাইন বাগেরহাট টুয়েন্টিফোর ডট কম পত্রিকায় ‘পাশে নেই জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানরা’ শিরোনামে সংবাদটি আমি পড়ি। বৃদ্ধা মায়ের জন্য লজ্জা ভুলে ওই পত্রিকার সাংবাদিক ভাইকে ফোন করি। তিনি সবুজ ভাইকে বলে আমার বৃদ্ধা মায়ের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করেন। খাবার পেয়ে আমার মা অনেক খুশি হয়েছেন। সবাইকে দোয়াও করেছেন। এ উপকার আমি কোনদিন ভুলব না।


মেহেদী হাসান সবুজ বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে। হিজলা ইউনিয়নের কারো ঘরে খাবার না থাকলে আমার ০১৭৯০-৮৫০৯৬৫ নম্বর মোবাইল ফোনে কল দিলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত