ভারী যানবাহন চলাচল করার করণে

ফকিরহাটে অর্ধশতাধিক গ্রাম্য পিচঢালা রাস্তা ভেঙ্গে চুরে তা এখন মরণ ফাঁদ

পি কে অলোক,ফকিরহাট।

আপডেট : ০৮:৫২ পিএম, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৭২২

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অর্ধশতাধিক জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ পিচঢালা রাস্তা ৬ চাকা ১০চাকা সহ বিভিন্ন ভারী ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে ভেঙ্গেচুরে খানা-খোন্দর হয়ে তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত গ্রাম্য এই রাস্তা গুলি দিয়ে ভারী ভারী যানবাহন চলাচল করার করনে রাস্তা গুলির এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাম্য রাস্তা গুলি সংস্কার করার আগে ভারী যানবাহন যাহাতে রাস্তায় প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যাবস্থা গ্রহন না করে রাস্তা গুলি সংস্কার করলে তা টেকসই হবে না। এ অবস্থায় জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি রাস্তার প্রবেশ মুখে ভারী যানবাহন প্রতিরোধক ব্যারিকেড নির্মানে জোর দাবী উঠেছে।

জানা গেছে,উপজেলা ৮টি ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল রাস্তাগুলি ভেঙ্গে চুরে তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এই সমস্ত গ্রাম্য রাস্তায় ৬ চাকা বা ১০ চাকার ভারী ভারী যানবাহন প্রবেশ করার কারণে রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই তা ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে পড়ছে। এই ভারী ভারী যানবাহন গুলি রাস্তায় প্রবেশ করতে দিলে রাস্তা টেকসই হবে না। যে কারনে রাস্তা নির্মান বা সংস্কার করার আগে রাস্তার প্রবেশ মুখে ভারী যানবাহন প্রতিরোধক ব্যারিকেড নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রতিিিট রাস্তার প্রবেশ মুখে ভারী যানবাহন প্রতিরোধক ব্যারিকেড নির্মাণ করলে সরকারের যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা তা অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব হবে।

সরেজমিনে অনুসন্ধ্যানে গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ হয়ে জমিদার বাড়ীর রাস্তা, টাউন নওয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শ্যামবাগাত রাস্তা, শুকদাড়া মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামার হতে কাঠালতলা রাস্তা, সাধুর সাধের বটতলা ভায়া মানসা-বাহিরদিয়া রাস্তা, গাবলালী ভায়া লালচন্দ্রপুর হয়ে পালেরহাট রাস্তা, তেলিরপুকুর ভায়া পাগলা দাশপাড়া রাস্তা,গাবখালী ভায়া লখপুর রাস্তা, জলছত্র বটতলা ভায়া কাটাখালী রাস্তা, জলছত্র বটতলা ভায়া লখপুর বাস্ট্যান্ড রাস্তা, টাউন নওয়াপাড়ার আমতলা ভায়া বৈলতলী রাস্তা, সুইচগেট ভায়া ভাগের জঙ্গাল বৈলতলী রাস্তা, সদরের ব্রাক অফিস ভায়া উপজেলা রাস্তা, নলধা সাহেব আলী মোড় হতে ডহর মৌভোগ রাস্তা, খড়রিয়া স্কুল মোড় হতে নলধা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা, বাহিরদিয়া বালেভিটা মাঠ হতে পালপাড়া হয়ে মৌভোগ ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা,ঘাটভোগ ব্রীজ হতে মানসা বাজার রাস্তা, কাঠালতলা ভায়া পাইকপাড়া রাস্তা ও শ্যামবাগাত ভায়া মাসকাটা বেতাগা বাজার রাস্তা সহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম্য পিচ ঢালা রাস্তা ভেঙ্গে চুরে তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল রাস্তা গুলি চলতি বর্ষা মৌসুমে পিচ বা কার্পেটিং উঠে তা এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কোন কোন স্থানে পিচ বা কার্পেটিং উঠে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, ভ্যান রিক্সা তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাও অসম্ভব। তবে সবচেয়ে বেশি ভায়াবহ রাস্তা হচ্ছে, কাটাখালী ভায়া জলছত্র বটতলা ও শ্যামবাগাত ভায়া মাসকাটা রাস্তা। এখানে রেল বিভাগের ভারী ভারী যানবাহন চলাচল করার করনে সদ্যনির্মাণ করা রাস্তার এই ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। রেল বিভাগের অবজ্ঞা আর অবহেলার কারণে জনগনের সিমাহীন দুর্ভোগ আজ চরমে পৌছেছে। স্থানীয় জনগন ও উপজেলা প্রশাসন রেল বিভাগকে রাস্তা দুইটিতে কিছু ইট-বালু দেওয়ার জন্য বারবার বললেও তারা তাতে কোন কর্ণপাত করছেনা। যে কারণে স্থানীয় জনগনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) ফকিরহাট এর উপজেলা প্রকৌশলী এম এম এ বকর এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সদ্য দুইটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে, এবং অতিদ্রুত ৫/৬টি রাস্তার টেন্ডার হবে। এছাড়াও আরো ২০/২৫টি রাস্তার ষ্টিমিট তৈরী করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত