স্কুল ড্রেসের সাথে জুতার মিল না থাকায় ক্লাস থেকে বের করে দিলো প্রধান শিক্ষক
মাসুদ রানা,মোংলা
আপডেট : ০৮:৩৪ পিএম, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১২২৭
স্কুল ড্রেসের সাথে মিল রেখে পায়ের সু- না পরায় শতাধিক ছাত্র/ছাত্রীদের বের করে দিলেন প্রধান শিক্ষক বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে মোংলা শেহালাবুনিয়া সেন্টপলস্ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস থেকে ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়।
২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় স্কুলের ক্লাস রুমে প্রবেশ করলে প্রধান শিক্ষক ব্রাদার জয়ন্ত এন্ড্রু কস্তা৷ তিনি ছাত্র/ছাত্রীদের পায়ে জুতা দেখে তার নির্দেশে ক্লাশ শিক্ষক সব ছাত্রদের ড্রেস ও জুতা চেক করেন। এসময় সবার গায়ে স্কুল ড্রেস থাকলেও অনেক ছাত্রদের পায়ে জুতা ছিলো বিভিন্ন রংয়ের। এসময় ক্লাশ শিক্ষকরা ড্রেসের সাথে মিল না থাকা সব ছাত্রদের ক্লাশ ও স্কুল বাউন্ডারী থেকে বের করে দেন। ক্লাশ থেকে বের করে দেয়া ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ কেউ বাড়ী ফিরে গেলেও আবার কাউকে রাস্তায় ঘুরতে দেখা গেছে।
বিষয়টি জানতে পেরে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এ আনোয়ারুল কুদ্দুস ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাশে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ক্লাশ শুরুর এক ঘন্টা পর গেটের বাহিরে ঘুরতে থাকা কয়েকজন ছাত্র- ছাত্রীদের ক্লাশে ফিরিয়ে নেওয়া হলেও বাকিরা মনের কষ্টে বাড়ি চলে যান।
এবিষয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের অভিভাবকদের স্কুল থেকে শিক্ষকরা ফোন করে ছাত্র/ছাত্রীদের স্কুলে আসতে বলেন। কিন্তু ড্রেসের সাথে মিল রেখে সু-পরে আসার বিষয়টি তো আগে তারা বলেননি। আজ সু-পরে আসিনি বলে আমাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ব্রাদার জয়ন্ত এন্ড্রু কস্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হয়নি, সু-পরে আসার নির্দেশ দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে আসছে, তিনিই আবার সব ছাত্র/ছাত্রীদের ক্লাশে যাওয়ার জন্য বলেছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই স্কুলের কয়েকজন ক্লাশ শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক নতুন যোগদান করার পর নিজের ইচ্ছেমতো স্কুলের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহন করছেন। তারা আরও জানান, করোনাকালীন মানবিক সব কিছু তিনি ভুলে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, লোকজনের কাছ থেকে একটি অভিযোগ শুনে আমি ওই স্কুলে যাই। প্রধান শিক্ষককে বলে এসেছি। আগামীতে আর কোন সমস্যা হবেনা বলে জানান তিনি।
সু-পরে না আসা ছাত্র ছাত্রীর কযেকজন অভিভাবক বলেন, করোনাকালীন সময়ে সরকার যে নিয়ম করে স্কুল খুলে দিয়েছে সেভাবেই তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকদের এমন আচরনে শিক্ষার্থীরা কিভাবে স্কুলে যাবে, এলোমেলো সিদ্ধান্তে তাদের পড়াশোনার ওপর থেকে মন উঠে যাবে। মোংলায় এই একটি স্কুলই অযাচিত সব নিয়ম করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের
গ্যাড়াকলে ফেলে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
