“করোনা পরিস্থিতির মহামারির কারণে”

ঐতিহ্যবাহী হাকিমপুর শিকদার বাড়ী দুর্গা মন্দিরে চলছে স্বল্প পরিসরে প্রতিমা তৈরীর কাজ

শেখ আনিছুর রহমান,চুলকাটি 

আপডেট : ১১:৩০ পিএম, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১ | ৯৬৫

বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী হাকিমপুর শিকদার বাড়ী দুর্গা মন্দিরে মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও স্বল্প পরিসরে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। রং তুলীর কাজ এখন শেষের পথে চলছে পূজা অর্চনার প্রস্তুতি। দেশের সর্ববৃহৎ এই পূজা মন্দিরে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারও ছোট প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারনে তারা এবার জলে ফুলে অর্থাৎ স্বল্প পরিসরে পুজা অর্চনা করবেন বলে আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন।

জানা গেছে,সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রতিবেশি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বেশীর ভাগ মানুষের সবচেয়ে বড় উৎসব এটি। যার কারনে উন্মাদনার শেষ থাকেনা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হতো বাগেরহাটের হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর এই দুর্গা মন্দিরে। অনেকে বলতো এটি দেশের সর্ববৃহৎ পূজা। তবে এবার সেই শিকদার বাড়ির দূর্গা মন্দিরে মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারনে পূজা উদযাপিত হচ্ছে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে স্বল্প পরিসরে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবার দুর্গা পূজাকে ঘিরে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর শিকদার বাড়িতে জমকালো চোখ ধাঁধানো আয়োজন নেই,তবে কড়া স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্যে দিয়ে এবার পূজা উদযাপিত হচ্ছে সীমিত পরিসরে। এবার মূল মন্ডপে শুধু প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে, তাছাড়া আর কোন আয়োজন করা হয়নি। করা হয়নি বিস্তৃত আলোক সজ্জা, মন্দির কর্তৃপক্ষ বসতে দেবেন না কোন দোকানপাট, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সীমিত পরিসরে দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তাছাড়া কঠোর নজরদারীতে থাকবে মাস্ক ও সামাজিক দূরাত্ব বজায় রাখার সকল প্রচেষ্টা।


উল্লেখ্য ২০১০সাল থেকে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে বাগেরহাটের শিকদার বাড়িতে দেশের সর্ববৃহৎ দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক লিটন শিকদার এই পূজার আয়োজন করে আসছিলেন। ২০২০সালে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাব থাকার কারণে স্বল্প পরিসরে পুজার আয়োজন করা হয়। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে এই মন্দিরে ৮০১টি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছিল। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮সালে ৭০১টি প্রতিমা তৈরী ও তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭সালে ৬৫১টি প্রতিমা গড়ে পূজা অর্চনা করা হয়। তখন ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহা-ভারতের চার যুগের দেবদেবীর নানা কল্পকাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল।

স্বল্প পরিসরে কেন পূজা করা হচ্ছে,এমন প্রশ্নের উত্তরে ঐতিহ্যবাহী শিকদার বাড়ি দূর্গা পূজা আয়োজক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক লিটন শিকদার বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে আমরা সীমিত পরিসরে পুজা উদযাপন করছি, তবে আগামী বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পূর্বের ন্যায় জমকালো আয়োজনে পূজা করবেন বলেও তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত