ফকিরহাটে সংস্কার বিহীন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, জন দুর্ভোগ চরমে
আপডেট : ০৭:০৯ পিএম, সোমবার, ৫ মার্চ ২০১৮ | ১৫০১
ফকিরহাটে ৫কিলোমিটার লম্বা একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ পুরাতন কাঁচা রাস্তা দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সংস্কার বিহীন ভাবে পড়ে থাকায় কয়েক হাজার জনগন সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। দ্রুতগতিতে রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি যানবাহন ও জনগনের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় রাস্তাটি পাঁকা করনের জোর দাবী তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। জানা গেছে, উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কুরোলতলা খেয়াঘাটের তে-মাথা মোড়ের মধ্য দিয়ে লখপুর ইউনিয়নের খড়িবুনিয়া বিল হয়ে ভবনা হুলোর মাথা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫কিলোমিটার সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধ্যানে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির পশ্চিম পার্শ্বে বটিয়াঘাটার আমেরপুর ইউনিয়ন। পূর্ব পার্শ্বে বড় খড়িবুনিয়া বিলের মধ্যদিয়ে রাস্তাটি প্রবাহিত হয়েছে।
এই রাস্তা দিয়ে লখপুর ইউনিয়নের ভবনা ভট্টেখামার জাড়িয়া মাইট কুমরা বেতাগা ইউনিয়নের মাসকাটা ধনপোতা চাকুলী ও আমেরপুর ইউনিয়নের নারায়নখালী বাইনতলা খরাবাদ ও বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কয়েক হাজার জনগন চলাচল করেন। স্থানীয় বৃদ্ধ মোঃ শামসুর রহমান, করিম মোড়ল, আদিল গাজী, আব্দুর সাত্তার, মুদি দোকানদার আউব আলী ও কামরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, রাস্তাটি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা যায় না। একটু বৃষ্টি হলেই হাটু সমান কাদা মাটি ভেঙ্গে স্থানীয়রা স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকেন। এ অবস্থার নিরসন করতে লখপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন, নিজ উদ্যোগে কয়েকশ মিটার রাস্তায় ইটের সলিং ও একটি কাঠের ব্রীজ নির্মান করে দেন। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,এই রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে মরা পশুর নদী প্রবাহিত। মরা পশুর নদীর দু-পার্শ্বে কয়েক হাজার জনগন ছোট্ট ছোট্ট কুড়ে ঘর বেঁধে স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন। অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করণ করা না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।
এব্যাপারে লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ফকিরহাট ও বটিয়াঘাটা দুই উপজেলার রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার জনগন চলাচল করেন। তাই পাকাঁ করার জন্য তিনিও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তপে কামনা করেন।