তীব্র তাপদাহে পুড়ছে মোংলার জনজীবন

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ১০:৫৬ পিএম, মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২ | ৩৯০

গত কয়েক মাস বৃষ্টির দেখা নেই মোংলায়। তীব্র তাপদাহে পুড়ছে এই উপজেলা। প্রতিদিন গড়ে ৩৮ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে এখানে। তাপদাহ আর তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচন্ড রোদে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা শ্রমিক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সামান্য স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা ছুটছে বিভিন্ন শরবত ও পানীয়ের দোকানে। কোথাও কোথাও পুকুরে নেমে পড়ছে বৃদ্ধ এবং শিশুরা।
বুধবারও (২৬ এপ্রিল) প্রচন্ড তাপ প্রবাহের কারণে মোংলার রাস্তাঘাটে লোকজনও অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম। তাই বন্দর ও পৌর শহরের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া যেন ঘর থেকে বের হচ্ছেনা লোকজন। শহরের মাদ্রাসা রোড ও রিজেকশন গলির খেটে খাওয়া দিনমজুরদেরও কাজে দেখা যাচ্ছেনা।
এদিন শ্রমিক আব্দুল কাউয়ূম, এনায়েত হোসেন ও খলিলুর রহমান বলেন, প্রচন্ড গরমে কাজের পরিবেশ নাই, দিন খেটে খাই। গরমে বসে থেকে জীবিকা চলেনা, কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা।
তাপদাহের প্রভাব মানুষের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে প্রাণীকুলের উপরও। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এখানকার বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি শিল্প।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে এসব চিংড়ি মাছ অক্সিজেন ফেল করে মরে ভেসে উঠে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পুকুর ও মাছের ঘেরে গাছের ডাল পুঁতে রাখতে হবে। যাতে করে অক্সিজেন তৈরি হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, এ গরমে পানি স্বল্পতাসহ হীট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপপ্রবাহে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোজাদারদের খুব জরুরী কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত