বুধবারও (২৬ এপ্রিল) প্রচন্ড তাপ প্রবাহের কারণে মোংলার রাস্তাঘাটে লোকজনও অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম। তাই বন্দর ও পৌর শহরের দোকানপাট ও রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া যেন ঘর থেকে বের হচ্ছেনা লোকজন। শহরের মাদ্রাসা রোড ও রিজেকশন গলির খেটে খাওয়া দিনমজুরদেরও কাজে দেখা যাচ্ছেনা।
এদিন শ্রমিক আব্দুল কাউয়ূম, এনায়েত হোসেন ও খলিলুর রহমান বলেন, প্রচন্ড গরমে কাজের পরিবেশ নাই, দিন খেটে খাই। গরমে বসে থেকে জীবিকা চলেনা, কি করব বুঝে উঠতে পারছিনা।
তাপদাহের প্রভাব মানুষের পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে প্রাণীকুলের উপরও। চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এখানকার বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস সাদা সোনাখ্যাত বাগদা চিংড়ি শিল্প।
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে এসব চিংড়ি মাছ অক্সিজেন ফেল করে মরে ভেসে উঠে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পুকুর ও মাছের ঘেরে গাছের ডাল পুঁতে রাখতে হবে। যাতে করে অক্সিজেন তৈরি হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, এ গরমে পানি স্বল্পতাসহ হীট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপপ্রবাহে শিশু, বৃদ্ধ এবং রোজাদারদের খুব জরুরী কাজ ছাড়া বাহির বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।