বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, প্লাবিত সুন্দরবন 

মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ০৯:০২ পিএম, রোববার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৩৫৮

প্লাবিত সুন্দরবন 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, এর প্রভাবে নদী ও পশুর চ্যানেল প্রচন্ড উত্তাল। এর প্রভাবে নদী ও খালে স্বাাভাবিকের তুলনায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়েছে মোংলা সুন্দরবনে এক মাত্র সরকারী বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র করমজল সহ বনের বিভিন্ন পর্যটক স্পটগুলো। তবে বন্যপ্রানীর আবাসস্থলগুলোর সেড উচু থাকায় এখও ভিতরে পানি প্রবেশ করতে পারেনি তাই সকল প্রানীই নিরাপদে রয়েছে। তবে ব্যাহত হচ্ছে ঘুরতে আসা পর্যটকদের চলাচল বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস, চলছে মুষলধারে বৃস্টি আর বৈরী আবহাওয়া। তবে বন্দরে অবস্থানরত বানিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে।

বন বিভাগ ও বন্দর সুত্রে জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সুন্দরবন তিন থেকে ৪ ফুটের অধিক উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে এর আশ-পাশ বনের গহিন। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকে হঠাৎ পশুর চ্যানেলে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটক স্পটসহ পুরো বনাঞ্চল।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকরা আসছে করমজলে বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র দেখার জন্য। কিন্ত দুপুর থেকে পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় শিশু,নারী ও বৃদ্ধদের চলাচল করতে চরম ব্যাঘাত হচ্ছে। গত পুর্নিমার গোনেও দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছিল সুন্দরবন। জোয়ারে প্লাবিত এ পানি বেশী সময় না থাকায় তেমন ক্ষতি হচ্ছে না। তবে এ পানি যদি আরো বৃদ্ধি পায় তা হলে বন্যপ্রানী সংরক্ষণ নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে বন বিভাগের বলে জানায় এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, গত ভড়া কাঠালের গোনে পানি বৃদ্ধি হয়েছিল এবং এবারের পুর্নিমায়ও পশুর চ্যানেল ও সুন্দরবনের নদ-নদীতে তিন থেকে চার ফুটের অধিক জোয়ারের পানিতে দুপুর থেকেই তলিয়েছে পুরো সুন্দরবন। এতে করমজলের রাস্তাঘাটসহ বনাঞ্চলে পানি থৈথৈ করছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রজনন কেন্দ্রের তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি। এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, রোববার মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় অধিক উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয় মোংলার নিম্নাঞ্চলসহ সুন্দরবন উপকূল। আবহাওয়া অফিস আরো বলেন, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিনত হওয়ায় নদীর পানি বৃদ্ধির এটি একটি কারণ, ফলে সুন্দরবন সহ এর উপকুলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল থাকায় বন্দরের অবস্থানরত বানিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা স্বাভাবিক রয়েছে। খাদ্যবাহী বানিজ্যিক জাহাজ ছাড়া অন্য সকল জাহাজের বোঝাই-খালাস কাজ চলছে যথা নিয়মে বলে জানায় বন্দরের হারবার বিভাগ। তবে নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মোংলা বন্দরে দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত