মোল্লাহাটে জমির বিরোধে ২দফা সংঘর্ষে আহত ১৫
আপডেট : ০৭:২৬ পিএম, রোববার, ৯ অক্টোবর ২০২২ | ৩৫১
মোল্লাহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। উপজেলার গাংনী গ্রামে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে প্রথম দফা ও বিকাল চারটার দিকে দ্বিতীয় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহতদের মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, আসাদ শেখ (৪০), দিন মোহাম্মাদ (১৪), নেয়ামত শেখ (৩৭), মর্জিনা (৪৫), সিফাত (৫৮), মঞ্জিলা (৩৫), মিঠু শেখ (৫৬), রোকা মিয়া শেখ (৬০), রুহুল আলী শেখ ৭০), মোঃ এরশাদ শেখ (৩৩), আলী রেজা বাবু (৪৮), পারুল বেগম (৫২), সবুজ শেখ (২৮), আলিম শেখ (১৫), সাইফুল ইসলাম (১৭)।
আওয়ামীলীগ নেতা আহত রোকা মিয়া শেখ বলেন, গাংনী গ্রামের তুরু শেখের বসতবাড়ির খানিকটা জমি অন্যায়ভাবে আত্মসাত চেষ্টার বিরোধীতা করার কারণে চাঁদ মিয়া শেখ ও রবিউল আলম সহ কয়েকজন এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। এতে আমিসহ ৪ জন আহত হই। আমাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। এরপর বিকালে আমাদের বাড়ির এবং আত্মীয়-স্বজনদের উপর আবারো সন্ত্রাসী হামলা চালায় চাঁদ মিয়া শেখ ও রবিউল আলম সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। এতে নারী-শিশু মিলে অন্তত ৬ জন গুরুতর জখম হয়। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিপক্ষের চাঁদ মিয়া শেখ জানান, তাদের লোকদের ওপরও হামলা হয়েছে। এতে তাদের ৫ জন আহত হয়েছে, আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাংনী গ্রামের মৃত হাসান শেখের থেকে পৌনে ১৬ শতাংশ জমি কিনে সেখানে বসবাস করছেন জনৈক তুরু শেখ। উক্ত জমি বিক্রির চেষ্টা করছেন বর্তমান মালিক তুরু শেখ। বিষয়টি জানতে পেরে পূর্বের মালিক হাসান শেখের ছেলে চাদ মিয়া শেখ সহ অন্যান্য ছেলেরা নতুন করে জমি মাপ দেওয়ার কথা বলে। উক্ত মাপের বিষয় নিয়ে ঘটনার দিন স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের আইসি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিমাংসার জন্য বৈঠক হয়। বৈঠকে তুরু শেখের পক্ষে কথা বলেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকা মিয়া শেখ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রোকা মিয়া শেখের সাথে রুঢ় বাক্য বিনিময় করেন চাঁদ মিয়া শেখ সহ তার অনুসারীরা। এনিয়ে উভয়ের মাঝে মারামারি হয়। এতে রোকা মিয়া শেখ সহ অন্তত ৫/৬ জন আহত হয়। এরপর বিকালে আবার সংঘর্ষে হয়। এতে আরো ৮/১০ জন আহত হয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান, ওই ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। পরবর্তী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।