জেলা পরিষদ নির্বাচনে

রামপালে ৩ প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস 

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:৪৩ পিএম, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২ | ৭০২

আসন্ন ১৭ অক্টোবর বাগেরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের (রামপাল উপজেলা) সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন প্রার্থী। সর্বশেষ প্রচারণায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। ১৩৩ জন জনপ্রতিনিধি এ ওয়ার্ডে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি বা সদস্য নির্বাচন করবেন। এ ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন রামপাল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ প্রিন্স, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. গোলাম আজম ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অসিত বরন কুন্ডু। বাগেরহাট জেলা পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড রামপাল উপজেলা। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা মোট ১৩৩ জন। ১০ টি ইউনিয়নে ১০ জন চেয়ারম্যান, ৯০ জন সাধারণ সদস্য ও ৩০ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ মোট ১৩০ জন জনপ্রতিনিধি। এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ প্রিন্স তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। এলাকায় তার জনপ্রিয়ও রয়েছে। তিনি আশাবাদী ভোটাররা তাকে রায় প্রদান করে সদস্য নির্বাচিত করবেন। তিনি তার দলগত অবস্থানের বাইরে রাতদিন প্রচারণায় সময় পার করছেন। সর্বশেষ প্রচারণায় তিনি এগিয়ে আছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম আজম ও আশাবাদী। তিনি স্বতন্ত্রভাবে হাতি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তিনি ও তার ক্লিন ইমেজ কাজে লাগিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। শ্রীফলতলাস্থ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মাতব্বর ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি তার দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। আগামী নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে মানুষের পাশে থাকে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তার সমর্থকরাও তাকে নিয়ে আশাবাদী। ১৭ তারিখে তিনি সকলের সমর্থন পাবেন বলে অপর আরেকটি সূত্র দাবী করেছে।
সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য অসিত বরন কুন্ডু লড়ছেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে। তিনি ও আশাবাদী এবারও তিনি নির্বাচিত হবেন। তিনি বলেন জেলা পরিষদের বরাদ্দ যথাযথভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুকুর সংস্কার ও নতুন পুকুর খননসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছি। অভিযোগ উঠেছে তিনি মন্দিরের মাঠ ভরাটের কথা বলে জেলা পরিষদ থেকে মোটা টাকা বরাদ্দ এনে সরকারি গো-হালট ভরাট করেছেন। অনুমতি না নিয়ে সরাসরি জায়গা ভরাট করার অভিযোগের বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, উন্নয়ন বরাদ্দে নয়ছয় বা অনিয়ম হয়নি। এবারো তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
এবার ভোটের চিত্র ভিন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি কে হাসবেন সেটি এখন স্পষ্ট। তবে কয়েকজন সাধারণ ভোটাররা বলেছেন যে যাই বলুন আমরা আমাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিবো। আমাদের মতামতের উপর কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা আমরা চাই না। কয়েকজন চেয়ারম্যান অসিত বরনকে এগিয়ে রাখলেও ভিন্ন চিত্র মাঠের হিসাবে। নতুন সমীকরণ দেখছেন সাধারণ মানুষ। শেষমেশ লড়াইটা দ্বিমুখী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত