মোরেলগঞ্জে ধানের পোকা দমনে আলোক ফাঁদ স্থাপন

মেহেদী হাসান লিপন,মোরেলগঞ্জ

আপডেট : ০৯:৫১ পিএম, বুধবার, ২১ মার্চ ২০১৮ | ৬৪২

কৃষিই সমৃদ্ধি। উদ্ধুদ্ধকরণের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব ধানের ক্ষতিকারক পোকা দমনের লক্ষ্যে আলোর ফাঁদ স্থাপন পদ্ধতি এলাকায় ব্যাপক সাড়া জুগিয়েছে। আর এ পদ্ধতিতে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য আলোর ফাঁদ উৎসবে ব্যাপক সাড়া পড়ছে কৃষক-কৃষাণীদের মধ্যে।


বোরো আবাদ মৌসুমে উপজেলার প্রতিটি ব্লকে একযোগে জৈবিক দমন পদ্ধতি আলোর ফাঁদ উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলার ৪৯ টি ব্লকের মধ্যে আলকিবুরুজবাড়িয়া ব্লক, দৈবজ্ঞহাটী ব্লক, পুটিখালী ব্লক , বলইবুনিয়া ব্লকে আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার রাতে আলোর ফাঁদ উৎসবের উদ্ধোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপম রায়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. সিফাত আল মারুফ, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মেজবাহ আহমেদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এমএ সোবাহান, মো. জাকির হোসেন, মো.আব্দুস সালাম, মো. মজিবর মোল্লা, মো. মশিউর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, মো. সামসুল আলম, বিমল কৃষ্ণ ডাকুয়া, বিপ্লব মুখপাধ্যায় ,বিশ^জিৎ কুমার, কেএম শাহনেওয়াজ, মো. নাজমুল মোড়ল, আলি আশ্রাফ, মো. আব্দুল গফফার খান, মো. দিদার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক ও কৃষক-কৃষাণীদের উপস্থিতিতে আলোর ফাঁদ উৎসব পালিত হয়।


উপজেলা কৃষি অফিসার অনুপম রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আলোর ফাঁদ পদ্ধতিতে ক্ষতিকারক পোকা সনাক্ত করা, ক্ষতিকারক পোকা নিয়ন্ত্রন করা ,ফসলের উৎপাদন খরচ কমানো,যত্রতত্র কীটনাশক ব্যবহার কমানো, জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় আলোর ফাঁদ পদ্ধতিতে ক্ষতিকারক পোকা দমনে একটি ফলপ্রসু পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ধানের ক্ষতিকারক পোকা সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব। আর সেই মোতাবেক বালাইনাশক প্রয়োগ করা হলে একদিকে যেমন অতিরিক্ত খরচের হাত থেকে বাঁচা যায় অপরদিকে জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষতিসাধিত হয়না।


কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় ৪ হাজার ৮ শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে বেরো ধানের চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের ৭ শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে । আর আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষক-কৃষানীরা অনেক লাভবান হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত