দূর্ঘটনায় নিহত-১, আহত কমপক্ষে-৩০

চিতলমারীতে ব্রীজের রাস্তা মেরামতের দাবি

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:১৯ পিএম, রোববার, ৩০ অক্টোবর ২০২২ | ৩৫১

চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামে বংশধর বালার বাড়ির সামনের ব্রীজটি (পুল) চলাচলের জন্য বিপদজনক হয়ে পড়েছে। ব্রীজ থেকে নামার রাস্তায় ঠিকমত পাইলিং না থাকায় ওই গ্রামের শচীন্দ্র নাথ মন্ডল (৬০) ভ্যান উল্টে পুকুরে পড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ওই এলাকার শ্যামল রায় (৩৫), ঠাকুরদাস বিশ্বাস (৫৯), বিশ্বজিৎ বালা (৪০), উৎপল মজুমদার (২২), তারক মন্ডল (৩৫) ও নজরুল শেখ (৪৫) সহ কমপক্ষে ৩০ জন লোক খাদে ও পুকুরে পড়ে আহত হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরে চরবানিয়ারী উত্তরপাড়া গ্রামের ১২৯ ব্যাক্তি ব্রীজের গোড়ায় পাইলিং ও রাস্তা মেরামতের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

ওই গ্রামের শিক্ষক সুব্রত কুমার রায়, ধীরেন্দ্র নাথ বিশ^াস, গৌতম, সুশান্ত বিশ^াস ও এনজিও কর্মি প্রশান্ত কুমার মন্ডল বলেন, ‘ওই ব্রীজটি দিয়ে আমরা পথচারীরা প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। ব্রীজের গোড়ায় বংশধর বালার জায়গা হওয়ায় সে সরকারি ভাবে পাইলিং বা রাস্তা মেরামতের সময় কাজে বাধা দেয়। তাই ব্রীজটির রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ব্রীজ থেকে পড়ে গিয়ে শচীন্দ্র নাথ মন্ডল নামের এক ব্যাক্তি মারা গেছেন এবং কমপক্ষে ৩০ জন লোক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা এলাকাবাসি ব্রীজের গোড়ায় পাইলিং ও রাস্তা মেরামতের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি।


এ ব্যাপারে বংশধর বালা বলেন, ‘ব্রীজের গোড়ায় পাইলিং ও রাস্তা মেরামতের কাজে আমি কখনো বাধা দেইনি। রেনেসাঁ এন্টারপ্রাইজের মাঠকর্মি নছিমনে সার নেওয়ার সময় আমার পুকুরে পড়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মাছ মরে যায়। আমি ক্ষতিপূরণ দাবি করায় ওরা মার বিপক্ষে অভিযোগ করেছে।


চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল বলেন, ‘ওরা ব্রীজের গোড়ায় পাইলিং ও রাস্তা মেরামতের জন্য ইউএনও’র কাছে একটি আবেদন দিয়েছে। যার অনুলিপি আমিও পেয়েছি। জায়গাটি চলাচলের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত