মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলে ডুবন্ত নৌযান থেকে সিমেন্ট উত্তোলন শুরু

রামপাল, মংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:১৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ ২০১৮ | ৫২১

অবশেষে পাঁচদিন পর মংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলে ডুবে যাওয়া বলগেট (ইঞ্জিনচালিত বড় ট্রলার বিশেষ) এমভি মদিনা মুনওয়ারা-১ থেকে সিমেন্ট অপসারণের কাজ শুরু করেছে মালিকপ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডুবন্ত সিমেন্টগুলো অন্য ট্রলারে উত্তোলনের কাজ শুরু হয়।

গত শনিবার মংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলের রামপাল এলাকায় দুই হাজার ব্যাগ সিমেন্ট নিয়ে ওই বলগেটটি ডুবে যায়। তবে সিমেন্ট পুরোপুরি অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত বলগেটটি চ্যানেল থেকে এখনই অপসারণ সম্ভব হচ্ছে না। নৌযান ডুবির কারণে মূল চ্যানেল দিয়ে নৌ চলাচলে কোনো বিঘœ ঘটছে না বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ সংশ্লিষ্ট দপ্তর। অন্যদিকে বলগেটটি উদ্ধার করে চ্যানেলটি মুক্ত করার জন্য সময় বেঁধে দিয়ে আইডাব্লিউটিএ’র(অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ) কর্তৃপ।

মংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেল খনন কাজে দায়িত্বে থাকা বিআইডাব্লিউটি-এর উপ সহকারী প্রকৌশলী আনিচ্ছুজামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, গত শনিবার মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে দুই হাজার ব্যাগ সিমেন্ট নিয়ে পটুয়াখালীর লেবুখালীতে শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টে যাওয়ার পথে মংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেলের রামপাল এলাকায় ওই নৌযানটি ডুবে যায়। তবে এ রুট দিয়ে নৌযান চলাচলে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব নৌযানটি উদ্ধারের প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।


অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপরে খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সানোয়ার হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ডুবন্ত বলগেটটি উদ্ধারে সময় প্রয়োজন। তবে নৌযানটি উদ্ধারে মালিক পকে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিলের মধ্যে বলগেটটি উদ্ধার করতে না পারলে নিয়ম অনুযায়ী নিলামে তোলা হবে। তবে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপরে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই নৌযানটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানিয়েছেন ডুবে যাওয়া নৌযান ‘এমভি মদিনা মুনওয়ারা-১’ এর মালিক রফিকুল ইসলাম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত