রামপালে একটি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অপসারণের দাবী

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:৩৯ পিএম, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২ | ৩৭৯

প্রতিকী ছবি

রামপাল উপজেলার একটি দাখির মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঢাকায় থাকায় ওই মাদ্রাসার লেখাপড়ার স্বাভাবিক কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। গ্রামবাসি ও অভিভাবক মহল এমন অভিযোগ করে লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরে পেতে জেলা প্রশাসক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহা-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


ওই লিখিত অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারুইপাড়া জুলফিকারিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ শাখাওয়াত হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর চাকুরির সুবাদে বছরের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন। এ কারনে তিনি নিয়মিত লেখাপড়ার খোঁজ খবর নিতে পারেন না। মাদ্রাসার সুপারের পদ শুণ্য থাকায় মাওলানা ছরোয়ার হোসেন ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষকরা ছরোয়ার হোসেনকে আমলে নিচ্ছেন না। তারা আগমন ও প্রস্থানে অনিয়ম করছেন। অভিযোগ উঠেছে সভাপতির দুর্ব্যবহারের কারনে মাদ্রাসার একমাত্র বিজ্ঞান শিক্ষক মিজানুর রহমান চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন। এ কারনে গ্রামবাসী ও অভিভাবক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে সভাপতির অপসারণ দাবী করেছেন।

অভিভাবক ও গ্রামবাসির ক্ষোভের মুখে সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সুপারকে সাথে নিয়ে গ্রামবাসি, অভিভাবক ও শিক্ষকদের না জানিয়ে নাম মাত্র একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটি গঠন করেই তড়িঘড়ি সভাপতি দৈনিক জনকন্ঠ ও দৈনিক অণির্বান পত্রিকায় মাদ্রাসায় চতৃর্থ শ্রেনীর কর্মচারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি খোদ মাদ্রাসার শিক্ষকদের মতো এলাকাবাসির বেশির ভাগ মানুষই জানেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগকারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি না জানায় অনেকের যোগ্যতা থাকা সত্তেও আবেদন করতে পারেন নি। তবে সভাপতির পছন্দের প্রার্থীরা সময় মতো আবেদন করেছেন। আবেদনকারিদের একজনের কাছ থেকে তিনি দুই দফায় ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে ওই অভিযোগ পত্রে উল্ল্খে করা হয়েছে।

অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন কিনা এমন অন্তত ৮/৯ অভিভাবক ও গ্রামবাসির সাথে মোবাইল ফোনে এ বিষয় জানতে চাইলে তারা স্বাক্ষর করার কথা স্বীকার করে বলেন, সভাপতির অনুপস্থিতি আর স্বেচ্ছাচারিতার কারনে মাদ্রাসার লেখাপড়া মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার স্বার্থে আমরা এ সভাপতির অপসারন দাবী করছি। তবে তাদের কেউ কেউ এ অবস্থার জন্য শুধু মাত্র সভাপতিকে দায়ী না করে বলেন, ভারপ্রাপ্ত সুপার সরোয়ার হোসনের সহযোগীতায় অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করায় এ অবস্থা হয়েছে। আমরা কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠনের দাবী করছি।

এ ব্যপারে সভাপতি শেখ শাখাওয়াত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এলাকার একটি মহল আমার ও মাদ্রাসার ভাবমুর্তি নষ্ট করতে বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানীর চেষ্টা করছে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার পুষ্পেন সরকার বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এ বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এখনও তদন্তের তারিখ ঠিক করা হয়নি। অল্প দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত