১৪ নারী শিশুসহ প্রাণ হারায় ১৯ জন

পানগুছি নদীতে ট্রলার ডুবির এক বছর আজ

মশিউর রহমান মাসুম

আপডেট : ০৩:৫৬ পিএম, বুধবার, ২৮ মার্চ ২০১৮ | ৯১৮

আজ বুধবার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পানগুছি নদীতে খেয়া ট্রলার ডুবে তিন উপজেলার ১৯ জনের প্রাণহানীর এক বছর পূর্তী। গেল বছরের ২৮ মার্চ বেলা সাড়ে ১০টায় একটি যাত্রীবাহী খেয়া ট্রলার ডুবে ৫ শিশু, ৯ নারী ও ৫ জন পুরুষ লোকের শলিল সমাধি হয়। সোলমবাড়িয়া ঘাট থেকে ৭০জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি মোরেলগঞ্জ বাজারের পাড়ে ভেড়ার পূর্ব মুহুর্তে বড় ধরণের ঢেউয়ে পড়ে উল্টে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় লোকজন ও মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ১৫ জন নারী ও ৮জন শিশুসহ ৫১ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। নিখোঁজ থাকেন ১৯ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌবাহিনীর ৩টি, ফায়ার সার্ভিসের ৪টি, কোষ্টগার্ডের ২টি ও পুলিশের দুটি দল অংশ নেয়। টানা ৪দিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৪ শিশু, ৯ নারী ও ৫ জন পুরুষ লোকের লাশ উদ্ধার হয়। আজো নিখোঁজ রয়েছেন কাঁচিকাটা গ্রামের নাছির শেখের ছেলে নাজমুল হাসান(৬)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, নিহতদের পরিবারকে ওই সময় সরকারি ভাবে ৪৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও নিহতদের স্মরণে নাম ফলকসহ একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরীর কাজ চলছে। এ ছাড়া ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

ঘটনার সময় নদী থেকে মোংলাগামী নৌবাহিনীর একটি জাহাজের ঢেউয়ে যাত্রীবাহি ট্রলারটি ডুবে যায় বলে কথা উঠলেও নৌবাহিনীর তরফ থেকে তা অস্বীকার করা হয়। তবে সেই জাহাজটিও উদ্ধার কাজে সহায়তা করে।


ট্রলার ডুবিতে নিহতরা হলেন, মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন গ্রামের চেহের বানু (৫০), নববধূ নাদিরা খানম (২০), বিউটি বেগম (৩৮), সুফিয়া বেগম(৬০), লিমা আক্তার(২১), আবদুল মজিদ শেখ(৬৫), পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের অফিস সহায়ক রফিকুল ইসলাম(৩৫), সাজ্জাদ হোসেন(২), সালমা(২২), আনসার আলী(৫০), সুলতান হাওলাদার(৫৫), মুন্নি বেগম(৩৪), মো. হাসিব(৬), পল্লীমঙ্গল গ্রামের মো. রাহাত বাদশা(১০মাস), লাবনী আক্তার(১৮) ও কাচিকাটা গ্রামের নাছির শেখের ৬ বছরের শিশু পুত্র মো. নাজমুল(নিখোঁজ)।

শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র কদমতলা গ্রামের মো. আবির আল সামস্ ও খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নাসিমা বেগম(৩২) এবং ইন্দুরকানী উপজেলার নাসরিন বেগম(২৮)।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত