বেতাগা কোরবানির পশুরহাটে উপচেপড়া ভিড়, দাম নাগালের মধ্যে

পি কে অলোক,ফকিরহাট

আপডেট : ১২:১২ এএম, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩ | ৩৯১

ফকিরহাটের ঐতিহ্যবাহী ও জেলার সর্ববৃহৎ বেতাগা পশুরহাটে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিপুল পরিমানে দেশী জাতের পশু উঠতে শুরু করেছে। ক্রেতা আর বিক্রেতার উপচেপড়া ভিড়ে বাজার এলাকা এখন মুখোরিত হয়ে পড়েছে। দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।


জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট হিসাবে ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা পশুরহাট দির্ঘকালের সুপরিচিতি অর্জন করেছে। এ পশুরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে চোখে পড়ার মত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদ-বৃষ্টির মধ্যেই পশু বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। তবে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা অনেক বেশী বলে বিক্রেতারা জানান। বেতাগা পশুরহাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখানে প্রতি শুক্রবার ও সোমবার পশুরহাট বসে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাটের দিন ভোররাত থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পশু আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাটে বাড়তে থাকে পশুর সরবরাহ। হাটে বিভিন্ন জাতের গরুর পাশাপাশি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, অন্যন্য বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। তবে বিক্রেতাদের দাবি, গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারনে পশু পালনে খরচ বেড়েছে অনেক গুন, তাই পশুর দামও একটু বেশি। ফলে হাটে যে দাম উঠছে, তাতে লোকসানের শঙ্কা করছেন তারা।


বাজারে গরু কিনতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, হাটে গরুর সরবরাহ ভালো। কোরবানির জন্য গরু কিনতে এসেছেন এই হাটে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি বলেও তারা জানান। গরু বিক্রয় করতে আসা কয়েকজন জানান, হাটের কেনা-বেচা অত্যান্ত ভাল কিন্তু সুবিধা মত বিক্রয় করতে পারছেন না। তারা যে দামে গরু ক্রয় করেছেন বাজারে এনেছেন সেই দামে বিক্রয় করতে পারছেন না। কারণ ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা অনেক বেশি। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা ও ইউপি সদস্য অসিত কুমার দাশ বলেন, বাজার মনিটরিং করার জন্য ৩০/৪০জন সদস্য ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মোতায়েন করা রয়েছে। কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই।

বেতাগা পশুরহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনন্দ কুমার দাশ এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, গত শুক্রবার বেতাগা পশুরহাটে প্রায় ১৫হাজার পশু এসেছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি এখানে গরুর স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য ভলেন্টিয়ার (মেডিকেল) টিম রয়েছে। শুধু তাই নয়, জাল টাকা সনাক্তের জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তারা মেশিন নিয়ে টাকা পরিক্ষা করছেন।


উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, অত্র উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার পশু। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। উপজেলায় খামারী রয়েছে প্রায় এক হাজার। তিনি আরো বলেন ফকিরহাট উপজেলার স্থায়ী বেতাগা পশুরহাটে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ হতে গবাদি পশু স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত