চাষিদের মুখে হাসি

কচুয়ায় আখের বাম্পার ফলন

কচুয়া সংবাদদাতা

আপডেট : ১১:১২ এএম, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৬২৭

আখ খুচরা বিক্রি হচ্ছে

“ঈক্ষুর রস অতি মিষ্ট”এই মিষ্ট রসের মিষ্টি হাসি কচুয়ার কৃষকের মুখে। এবছর উপজেলার গোপালপুরে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই ফলন হওয়ার ফলে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক।

সেচ প্রকল্প এলাকার কৃষকরা আখ চাষে বেশি লাভবান হচ্ছেন। কারণ,তাদের জমিগুলোতে পানি না থাকায় বেশি সময় নিয়ে আখ বিক্রি করতে পারছেন।

বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি অর্থ বছরে আখের ফলন খুব ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস। গোপালপপুর এলাকা ঘুরেও মিলেছে এর সত্যতা। এ বছর আখের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। ইতোমধ্যেই উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের হাট বাজারে খুচরা-পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কচুয়ার আখ।

আকারভেদে প্রতিটি আখ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ টাকা। অপর দিকে আকারভেদে এক শত পিচ আখ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬শত থেকে ৩ হাজার টাকায়।

উপজেলা জেলা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলার এবছর ৮০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। এর মধ্য গোপালপুর ৭০ হেক্টর, বাধাল ৫ হেক্টর এবং ৫ হেক্টর মঘিয়া সহ অন্যান্য ইউনিয়নে চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যেই ২৫ শতাংশ আখ কাটা হয়েছে, আগামী ৩ থেকে ৪ মাস চলবে বাকি আখ কাটা।

উপজেলার বাধাল গ্রামের কৃষক সুরজিৎ দাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আলু জমিতে থাকা অবস্থায় আখ লাগিয়েছেন তারা। এ বছর ভালো ফলন পেয়েছেন। এর মধ্যে লম্বা জাতের আখই বেশি। তবে তাদের অনেক জমিতে এখনো আখ কাটা শুরু হয়নি।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক মোঃ জাকারিয়া বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান,তিনি এ বছর ২ একর জমিতে আখের আবাদ করেছেন। তার চাঁদপুর ইশ্বরদী-১৪ জাতের আখও অনেক লম্বা হয়েছে। আখ কেটে বিক্রয় শুরু করছেন। ভালো দামে বিক্রি করতে পাছেন।

একই এলাকার কৃষক আতিয়ার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান,তিনি এ বছর আলু আবাদ করে অনেক ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যে রয়েছেন। এখনো সার ও বীজের দোকানে বকেয়া রয়েছে। ৬০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছেন, ফলন ভালো হয়েছে। তার জমিতে চাঁদপুর গেন্ডারি ও অমিতা-দু’জাতেরই আখ রয়েছে। আখ বিক্রি করে আলুর আবাদে হওয়া ঋণ পরিশোধে আশাবাদী তিনি।

বাধাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, গোপালপুরের অধিকাংশ আখই,বাগেরহাট,পিরোজপুর, মোড়েলগঞ্জ, শরনখোলা, রায়েন্দা, ষাটগুম্বুজ, বারাকপুর, মহিষপুরা সহ বিভিন্ন এলাকার আখের ব্যাপারি এসে উপজেলাার বাধাল বাজার,কচুয়া বাজার, সহ গ্রামের ছোট ছোট হাট বাজার থেকে সড়কপথে এসব জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে বহু বছর ধরে ব্যবসায়ীরা জমি থেকেই আমাদের আখ কিনে নিয়ে যান।

উপজেলা কৃষি অফিসার শাশ্বতি এদবর বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান,এ উপজেলায় চাঁদপুর গেন্ডারি’ ও ঈশ্বরদী-১৪ জাতের আখ দু’টির আবাদ হয়। চাঁদপুর গেন্ডারির আবাদ বেশি,ঈশ্বরদী-১৪ এর আবাদও বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। চলতি মাসের তথ্যানুসারে এখনো পুরোপুরি আখ কাটা শুরু হয়নি। তিনি বলেন,‘আখের ভালো ফলন হওয়ায় আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা করছি। আমরা সব সময় কৃষকদেরকে সব ধরনের আবাদে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত