৯ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধানমনস্ত্রী শেখ হাসিনা

রেল যোগাযোগের মাধ্যমে ভারত, নেপাল ও ভুটান সহ অন্যান্য দেশ মোংলা বন্দর ব্যাবহারে উদ্যোগী হবে-রেলমন্ত্রী 

মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ০৯:৫৫ পিএম, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | ৩৭৪

রেলমন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, খুলনা-মোংলা ৯১ কিলোমটিার নতুন রেলপধ নির্মান মোংলা সমুদ্র বন্দরের পন্য পরিবহনই আমারদের প্রধান লক্ষ, সাথে যাত্রী পরিবনও করা হবে। এছাড়া রেল পরিবহনের মাধ্যমেই মোংলা বন্দরের সক্ষমতা আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পবে।

আর মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেই আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান সহ অন্যান্য দেশ এ মোংলা বন্দর ব্যাবহার করতে আরো উদ্দোগী হবে। এছাড়া এ রেলপথ দিয়ে সহজেই মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন পষগ-ফযপষগউ ব্যাবসায়ীরা।

আগে সড়ক ও নদী পথে এ বন্দরের পণ্য পরিবহণ হতো। রেলপথে পণ্য পরিবহণে খরচ কম এবং এর সুবিধা পণ্যের উপর লস যোগ হবে। ফলে এর সুফল ব্যাবসায়ীরা সহ এ অঞ্চলের জনগণই ভোগ করবেন। তিনি আরো বলেন, এ রেলপথ দিয়ে দেশ-বিদেশীরা ব্যাবসায়ীরা সহজেই মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। এ রেলপথের রুপসার ওপারের দুই থেকে আড়াই কিলোমিটারের কিছু অংশ লিংকেজ সম্পন্ন হয়নি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ লিংকেজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে রেলপথটি পুরোপুরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

পুরো রেলপথের কাজ সমপন্ন ও ক্রুটিমুক্ত করেই উদ্বোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এখন শুধুই উদ্বোধনের অপেক্ষার পালা বলে জানান তিনি।

প্রথমে খুলনা-মোংলা রেলপথে মোটর টেলিযোগ (ট্রেন ক্যাম্পিং মেশিন)’র মাধ্যমে রেলমন্ত্রী খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে এলাইনমেন্ট (সেতু নং-১০) সহ দক্ষিনাঞ্চলের শেষ প্রান্ত মোংলা রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। এসময় বিভিন্ন স্টেশনের কার্যক্রম পরিদর্শনের করেণ রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

তার সফর সঙ্গি হিসেবে রেলমন্ত্রনালয়ের সচিব, প্রকল্প পরিচালক, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপংকর দাশ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইরকন সহ মন্ত্রনালয়ের একটি প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় দক্ষিনাঞ্চলের শেষ প্রান্ত মোংলা রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌছান তিনি।

দক্ষিনাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের স্বপ্ন খুলনা-মোংলা রেলপথ, এ রেল প্রকল্পের প্রায় ৯৯ সতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ৯১ কিলোমিটাপরের রেলপথের ৮৮কিলোমটিারেরই কাজ শেষ। বাকি কাজ দ্রুত গতিতে চলছে, শেষ হলেই আগামী ৯ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রকল্পের বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করতে ব্যাস্ত সময় পারকরছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। তবে এমাসের মধ্যে শেষ হবে বলে মনে করেণ প্রকল্প পরিচালক সহ সংশ্লিষ্টরা। রেলপথের ১১টি স্টেশনের প্লাটফম, ১০৭টি ব্রিজ, ৯টি আন্ডারপাস, বিভিন্ন স্থানে রেল পথের ফিনিশিং সিগনালিং ও টেলিকমিনিকেশনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, মোংলা-খুলনা রেল লাইন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সহ নানা কারণে কাজ সঠিক সময় শেষ না হওয়ায় মন্ত্রনালয় ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিলো।

পরবর্তীতে আরো তিন মাসের সময় বৃদ্ধি করা হয়। সেই অনুযায়ী চলতি অক্টোবর এ রেলপথ উদ্বোধনের কথা থাকলেও পুরোপুরি ক্রুটিমুক্ত করেই আগামী ৯ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এ রেলপথটি। কয়েক দাপে বৃদ্ধির পর খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প কাজের ব্যায় ধরা হয়েছে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকা। আর রেলপথের জন্য মোংলা বন্দর সহ দক্ষিনাঞ্চলের ব্যাবসায়ী ও বসবাসকারীদের দীর্ঘদিনের কাক্ষিত স্বপ্ন পুরণ হলো। আগামী নভেম্বরে এর শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত