মামলা প্রধান আসামী মোসলেম শরণখোলা থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

সাভারের চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী গৃহবধু ধর্ষণ

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৯:২৬ পিএম, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | ২০২

সাভারের বেগুনবাড়ি এলাকার চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী ও গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোসলেম মোল্লাকে (৪০) বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (খুলনা র‌্যাব-৬) একটি দল। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার ফেরিঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।


গ্রেপ্তার হওয়া মোসলেম মোল্লা ঢাকার সাভার সদর উপজেলার আমিন বাজার এলাকার মৃত শফি উল্লাহ ওরফে শফিক ড্রাইভারের ছেলে। তিনি ঘটনার পর সাভার থেকে পালিয়ে শরণখোলায় এসে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আত্মগোপন করে ছিলেন। খুলনা র‌্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মো. বদরুদ্দোজা জানান, সাভারের পাঁচকানি কাউন্দিয়া এলাকার এক কলেজছাত্রী ও গৃহবধূ ঢাকার মিরপুর-১ নম্বর এলাকার একটি প্রসাধনীর (কসমেটিক) দোকানে চাকরী করেন।

গত ২৭ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় ওই গৃহবধূ বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে দোকান থেকে বের হয়ে বেগুনবাড়ি গুদারাঘাটে যান। সেখান থেকে পাঁচকানি কাউন্দিয়ায় যাওয়ার জন্য একটি ডিঙি নৌকায় ওঠেন। এসময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ষক মোসলেম মোল্লাও ওঠেন ওই একই নৌকায়। নৌকাটি নদীর মাঝ বরাবর গেলে নৌকার মাঝি সেলিমের (৩৮) সহযোগীতায় মোসলেম মোল্লা গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। উপুর্জুপুরি ধর্ষণের একপর্যায়ে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়েন।


পরবর্তীতে ধর্ষিতাকে অচেতন অবস্থায় ওই নৌকায় রেখে ধর্ষক মোসলেম মোল্লা ও তার সহযোগী নৌকার মাঝি পালিয়ে যান। এদিকে, নির্ধারিত সময়ে গৃহবধু বাড়ি না ফেরায় তার স্বামী ও অত্মীয়- স্বজনরা খোঁজে নামেন। তারা একটি নৌকা নিয়ে খোজাখুজি করে গভীর রাতে অচেতন অবস্থায় নৌকা থেকে উদ্ধার করেন গৃহবধুকে। পরে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।


র‌্যাব জানায়, ঘটনার পরের দিন ২৮ জানুয়ারি গৃহবধূ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় দুই জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে র‌্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মোসলেম মোল্লাকে শরণখোলার রায়েন্দা বাজারের ফেরিঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে সাভার থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত