কচুয়ায় এসএসসিতে পাশে মোবাইদুল ও ফেলে সিএস এগিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০১:২৬ পিএম, বুধবার, ৯ মে ২০১৮ | ২১০৪

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ১৬টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে কচুয়া কেন্দ্রে উপজেলার ১৪টি ও অন্য ২টি কেন্দ্রে ২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলার ২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ কেন্দ্রের পরীক্ষায় অংশ নেয়। কেন্দ্রের দিক থেকে উপজেলায় ২২টি এ প্লাস পেলেও উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে উপজেলায় ২৭টি এ প্লাস পায়।

উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ বছর মোবাইদুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬টি এ প্লাস, ২৩টি এ, ১৯টি এ মাইনাস, ১৪টি বি, ৪টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ৫ জন অকৃতকার্য হয়।

করোনেশন সোবাহান (সিএস) পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২টি এ, ১০টি এ মাইনাস, ১০টি বি, ৫টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১৯ জন অকৃতকার্য হয়।

ধোপাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৯জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২টি এ প্লাস, ১০টি এ, ১৮টি এ মাইনাস, ২১টি বি, ১৬টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১২ জন অকৃতকার্য হয়।

গজালিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮৯জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১টি এ প্লাস, ১৯টি এ, ১৩টি এ মাইনাস, ২২টি বি, ১৭টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১৭ জন অকৃতকার্য হয়।

বারইখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১টি এ প্লাস, ২০টি এ, ৭টি এ মাইনাস, ১৪টি বি, ১৩টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ২ জন অকৃতকার্য হয়।

গোয়ালমাঠ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮৬জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১টি এ প্লাস, ১৮টি এ, ২১টি এ মাইনাস, ২২টি বি, ৮টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১৬ জন অকৃতকার্য হয়।

কচুয়া পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৪০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩টি এ, ৫টি এ মাইনাস, ৫ টি বি, ১৫ টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১২ জন অকৃতকার্য হয়।

আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪০জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬টি এ, ৭টি এ মাইনাস, ১২টি বি, ৯টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১১ জন অকৃতকার্য হয়।

গোয়ালমাঠ রশিকলাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১টি এ প্লাস, ৫টি এ, ৬টি এ মাইনাস, ১৪টি বি, ২০টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ৬ জন অকৃতকার্য হয়।

আন্ধারমানিক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ২১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩টি এ, ৬টি এ মাইনাস, ৫টি বি, ৩টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ৪ জন অকৃতকার্য হয়।

বিসি ভাষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৬জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫টি এ মাইনাস, ৩টি বি, ৮টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১০ জন অকৃতকার্য হয়।

আখতার উদ্দিন মোমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫টি এ মাইনাস, ৯টি বি, ৫টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ৪ জন অকৃতকার্য হয়।

শহীদ আঃ জলিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪২জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬টি এ, ১০টি এ মাইনাস, ৯টি বি, ৮টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ৯ জন অকৃতকার্য হয়।

শহীদ আসাদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪টি এ, ৭টি এ মাইনাস, ৪টি বি, ১১টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১৫ জন অকৃতকার্য হয়।

মসনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬১জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫টি এ প্লাস, ১৩টি এ, ১২টি এ মাইনাস, ১৫টি বি, ৮টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ৮ জন অকৃতকার্য হয়।

জোবাই আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬টি এ, ৭টি এ মাইনাস, ১৭টি বি, ১৫ টি সি গ্রেট প্রাপ্ত হয় ও ১০ জন অকৃতকার্য হয়।

অভিবাবক মহল বলছে, সব মিলিয়ে এবছরের এসএসসির ফলাফলে ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ সিএস পাইলট ফেলে এগিয়ে ও পাশের দিক থেকে মোবাইদুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় এগিয়ে রয়েছে।


অভিবাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকরা পাঠদানে মনোযোগী না হওয়ায়, কোাচিং বানিজ্যে লিপ্ত হওয়ায় ও গাইড নির্ভরশীলতার কারনে ফল বিপর্যয় ঘটেছে। এজন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মানিক অধিকারী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ে ফল বিপর্যয় হয়েছে সে সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসমিন ফারহানা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, পরীক্ষা আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছি। তবে যেসকল প্রতিষ্ঠান এবছর ফল খারাপ করেছে তাদের বিষয়ে করনীয় ঠিক করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত