প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ডেস্ক

আপডেট : ০৯:০৪ পিএম, সোমবার, ১৪ মে ২০১৮ | ২০৯৫

মংলায় সরকারি খাস জমি জবরদখলের অভিযোগ শিরোনামের সংবাদটির প্রতিবাদ করেছেন সংবাদে উল্লেখিত তিন সহোদর ও তার অপর এক ভাই খন্দকার তারিক, খন্দকার তুহিন, খন্দকার তুষার, খন্দকার তুরান। তারা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোর ডট কমকে পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন, নিম্নে তাদের দেয়া প্রতিবাদ লিপিটি তুলে ধরা হলো...

উল্লেখিত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা-বানোয়াট ও ভিত্তিহীন যা মান-হানিকর এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তির লক্ষ্যে হেয় উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এরূপ প্রেক্ষিতে স্বীয় সম্মান রক্ষার্থে ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রকৃত সত্য ঘটনা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা অতীব জরুরী এবং প্রাসঙ্গিক।

প্রকাশিত সংবাদের অনুঘটক মোঃ মাহাবুবুর রহমান মানিক ও মোখলেচুর রহমান মিঠু গং; সর্বপিং– আব্দুল বারিক আমাদের মালিকানাধীন জায়গায় পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছে। আমাদের নিজ প্রয়োজনে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের জন্য উক্ত ভাড়াটিয়াকে জায়গা ছাড়তে বলায় নানা অজুহাত ও টালবাহানা করে দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপন করে আসছিল।

এরূপ কালক্ষেপনে সম্পর্কের অবনতিসহ আমাদের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড সম্পাদনের ব্যাঘাতে আর্থিক ক্ষতিসহ শান্তি ভঙ্গের কারন দেখা দেওয়ায় গত ০৪/১১/২০১৭ ইং তারিখে মংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ ন্যায় বিচারের আবেদন করি। তৎপরবর্তিতে মংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একজন সহকারি উপ পরিদর্শক কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক বিবাদমান দুইপক্ষকে নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেন। এরূপ প্রেক্ষিতে উক্ত ভাড়াটিয়া মানবিক কারন দেখিয়ে আমাদেরকে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে। একান্ত মানবিক কারনে এবং সৌহার্দপূর্ণ সমাধানের আশায় ও আস্থার ভিত্তিতে আমরা আরও কিছুদিন অপেক্ষা করি।


পরবর্তিতে উক্ত ভাড়াটিয়ার গতিবিধি সন্দেহভাজন হওয়ায় আবাসিক প্রকৌশলী মংলা মহোদয় কর্তৃক আবেদনের ভিত্তিতে আমার নামীয় (এ/১২৯৬৫) বিদ্যুৎ সংযোগটি গত ২৪/৪/২০১৮ ইং তারিখে সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরূপ প্রেক্ষিতে অনেকটা অস্বাভাবিকভাবে পরবর্তিদিন উক্ত ভাড়াটিয়া পূর্ব প্রদত্ত বিদ্যুৎ সংযোগের স্থলে নতুন সংযোগ গ্রহণ করে। এরূপ প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, ডিসিআর (বহি নং-– ১২৪১ রশিদ নং – ০৬২০১৬; তারিখ ০৪-১২-২০১৭ ইং) জমাদানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণ করে। এমতাবস্থায় আরও খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, গত ০৪/১২/২০১৭ ইং তারিখে শেলাবুনিয়া মৌজাধীন এসএ-১৯ খতিয়ানে লীজ কেস নং – ৪৮ (আর) ৭৭-৭৮ এর অনুকূলে বাংলা ১৩৮৮ সন হতে ১৪২৪ সন পর্যন্ত ৩৭ বছরের ০.২৫ একর এর ফী এককালীন পরিশোধে ডিসিআর গ্রহন করে যাহা সুকৌশলে ও সুপরিকল্পিত ভাবে জবরানে ও ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে আমার মালিকানাধীন জমি জবর দখলের হীন চক্রান্ত বলে প্রতীয়মান হয়। উল্লিখিত ডিসিআর এর প্রেক্ষিতে আমার রেকর্ডিয় নিজ মালীকানাধীন জমি অন্যায় ও বেআইনীভাবে ভোগদখলের স্বার্থে উপজেলা প্রশাসনকে অসত্য তথ্য প্রদান এবং ভুল বুঝিয়ে ভাড়াটিয়া সত্ত্বের স্থলে ডিসিআর - মূলে উক্ত জায়গায় দখলদার মর্মে দাবী করে যা অত্যান্ত অনভিপ্রেত এবং দীর্ঘমেয়াদী চক্রান্তের অংশ বলে প্রতীয়মান।

এরূপ প্রেক্ষিতে গত ৩০-০৪-২০১৮ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় বরাবর ঘটনার বৃত্তান্ত উল্লেখপূর্বক ন্যায় বিচারের আবেদন করি। এ প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মহোদয় উভয় পক্ষকে ০৯-০৫-২০১৮ ইং তারিখে শুনানীর দিন ধার্য্য করে শুনানী করে এবং আমরা ১/১ খতিয়ানভুক্ত সরকারি জমি এবং আমাদের মালিকানাধীন রেকর্ডীয় জমি সরকারি সার্ভেয়ার কর্তৃক সরেজমিনে চিহ্নিতকরনের অনুরোধ জানিয়ে আসছি। তৎপরবর্তিতে গত ১১-০৫-২০১৮ ইং তারিখ আমার ভোগ দখলীয় জায়গায় স্বাভাবিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে কাজ করতে গিয়ে উক্ত ভাড়াটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চলাচলের পথ বন্ধ করা সহ কাল্পনিক অভিযোগ দায়ের করলে মংলা থানার একজন উপ পরিদর্শক সরেজমিনে এসে অনুরোধ করলে আমার মালিকানাধীন জায়গা হলে ও পথ উম্মুক্ত করে দেই। উক্ত উপ-পরিদর্শক দুই পক্ষকে নিয়ে বিবাদমান বিষয়টি সুরাহার উদ্দেশ্য অনতিবিলম্বে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন।

এরূপ প্রেক্ষিতে বিস্ময়করভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করে আমাদের সম্মানহানি সহ চক্রান্তমূলকভাবে আমার মালিকানাধীন জমি সরকারি খাস জমি মর্মে অপপ্রচারের মাধ্যমে জোরপূর্বক জবরদখলের অপকৌশলে নিয়োজিত মর্মে প্রতীয়মান হয়।


প্রকাশিত সংবাদে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক বিবৃতির বিপরীতে আমরা সুষ্পষ্টভাবে জানাচ্ছি যে, আমাদের ভোগদখলীয় জায়গা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি ১/১ নং খতিয়ানভুক্ত জমির অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে সরকারি নথিতে লিপিবদ্ধ আছে এবং আমাদের ভোগদখলীয় জায়গার মালিকানা নিয়ে কোনরূপ অস্পষ্টতা নেই। এবং নিয়মানুযায়ী আমাদের ভোগদখলীয় জায়গার অনুকূলে নির্ধারিত সরকারি খাজনাদি নিয়মিত পরিশোধ করে আসছি এবং কার্যত প্রকাশিত সংবাদে উল্লিখিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অমূলক, মানহানিকর এবং চক্রান্তমূলক।

অনুরোধক্রমে
খন্দকার তারিক, খন্দকার তুহিন, খন্দকার তুষার, খন্দকার তুরান।


প্রতিবেদকের বক্তব্য.

সংবাদে উল্লেখিত সকল তথ্য মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দেয়া আবেদন ও ক্ষতিগ্রস্থ মোকলেসুর রহমান মিঠুর দেয়া মৌখিক অভিযোগ থেকে নেয়া।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত