বাগেরহাটে জমিদার বাড়ির স্থাপনা ভাঙার অভিযোগ

আলী আকবর টুটুল

আপডেট : ০৫:৪৬ পিএম, শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮ | ১২১৯

বাগেরহাট জমিদার বাড়ির স্থাপনা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। আদালতের আদেশ থাকার পরও ভোগদখলকারিরা জমিদার আমলের তৈরী কাছারি বাড়ির সিড়িসহ ভবন নিশ্চিহৃ করতে বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ বাদি ও এলাকাবাসির। তবে ভোগদখলকারি মাদ্রাসার সুপার কেরামত আলী আদালতের আদেশ হাতে পাননি বলে দাবী করে বলেন, পাশে কাস কক্ষ তৈরী করতে সিড়ি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।


জানাগেছে, বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের পানিঘাট এলাকায় রমেশ চন্দ্র বন্দোপ্যাধায় গংদের জমিদারদের কাছারি বাড়ি খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করতে মিলন সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ সোলায়মান সরকারের কাছ থেকে ডিগ্রী নেয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন। আদালত ব্যক্তির নামে ডিগ্রী না দিয়ে সরকারের পক্ষে রায় দেন। পরবর্তীতে জমিদারদের কাছারি বাড়িসহ জমি দখলে নিতে মৌলভী আবুল বাশার মোল্লা আদালতে ডিগ্রীর মামলা করেন। তারা এক তরফা ডিগ্রী বুনিয়াদে ১৯৭৭ সালে ৪ একর ৩৩ শতক দখলস্বত্ত পেয়ে পুরানো স্থাপনায় পানিঘাট ইসলামী নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ নতুন স্থাপনা তৈরী করে। মামলায় বিবাদী করা হয়েছিল ওই খেলার মাঠের মিলন সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ সোলায়মানকেও।


এরপর ১৯৯৯ সালে ২০ নভেম্বর সরকারের পক্ষে একতরফা ডিগ্রীর বিরুদ্বে ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন মিলন সমিতির সাধারন সম্পাদক শেখ সোলায়মান । মামলা চলাকালিন অবস্থায় চলতি বছরের ২৭ জুন সহকারী জজ আদালত জমিদার বাড়ির স্থাপনা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে সার্ভে অভিজ্ঞ আইনজীবীকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এরপর ওই স্থাপনা নিশ্চিহৃ করতে শ্রমিক দিয়ে কাছারি বাড়ির সিড়ি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এঘটনায় এলাকাবাসিসহ জনপ্রতিনিধিরা ঊদ্বেগ প্রকাশ করেন।


এবিষয়ে স্থানীয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শংকর কুমার চক্রবর্তী বলেন, আদালতের আদেশ থাকলে সেখানে ভাঙা উচিত হয়নি। মামলা চলাকালিন সময়ে তাদের আদালতের আদেশকে সম্মান করা উচিত ছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত