সজীব ওয়াজেদ জয়ের জম্মদিন পালন করলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ

 টনি নিউ ইর্য়ক থেকে

আপডেট : ০৫:৫১ পিএম, মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮ | ১০৩৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ নাতি, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের৪৮তম জন্মদিন আজ।

১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেনতিনি। তার বাবা দেশের বিশিষ্ট পরমানু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়কউপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ জন্য তিনি কোনও বেতন গ্রহণ করছেন না। ডিজিটালবাংলাদেশ গঠন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আধুনিকায়নের ব্যাপারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এপ্রযুক্তিবিদ।

সম্প্রতি টেলিভিশনে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে ‘লেটস টক’ নামের একটি মতবিনিময় অনুষ্ঠান করে বেশজনপ্রিয়তা পান তিনি।

আইসিটি খাতে বিশেষ দক্ষতার জন্য ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইয়াং গ্লোবাল লিডারঅ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন সজীব ওয়াজেদ। এছাড়াও ২০১৬ সালে তিনি অর্জন করেন আইসিটি ফরডেভলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড।

সরকারি চাকরির অপেক্ষায় না থেকে তরুণরা যাতে নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে সেজন্য তাদেরতথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টাসজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়-এর ৪৮তম শুভ জন্মদিন উদ্যাপনঅনুষ্ঠানে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। গতকাল জ্যাকসন হাইটসচাইনিজ পার্টি হলে রাত ৯ টায় ২৯ জুলাই রোজ রোববার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্তসভাপতি ছামছুদ্দিন আজাদ এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদআজাদ।

সজীব ওয়াজেদ জয়-এর জন্ম দিনের অনুষ্ঠানে কেক কেটে তার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূএ সজীব ওয়াজেদজয়ের ৪৮ তম জন্মদিন । একাত্তরের ২৭ জুলাই প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম এমএ ওয়াজেদ মিয়া ওবর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে জন্ম নেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তার এই শুভ জন্মদিনে জানাইঅনেক অনেক শুভেচ্ছা। পচাওোরের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্রের হাতে বঙ্গবন্ধু সহপরিবারের নিহত হওয়ারসময় মা শেখ হাসিনা এবং খালা শেখ রেহানার সঙ্গে লন্ডনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তারা সবাই।পরবর্তীতে জয় তার মায়ের সঙ্গে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। জয়ের শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে।সজীব ওয়াজেদ জয় পড়াশোনা করেন ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ ও তামিলনাড়ুর পালানিহিলসের কোডাইকানাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এরপর তিনি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারসায়েন্স, পদার্থ এবং গণিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে টেক্সাসইউনির্ভাসিটি থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আরেকটি ব্যাচেলর ডিগ্রি অব সায়েন্স অর্জন করেন।সবশেষে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ারবিষয়টি সামনে আসে। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সজীব ওয়াজেদজয়কে তার পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে তিনিআনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন।

গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন ও দেশের বিভিন্ন এলাকা সফরেরমধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশভালো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কেঅবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।তথ্য-প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষ বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।বিশেষ করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে দেশের কাজেআত্মনিয়োগ করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছামছুদ্দিন আজাদ বলেন সজীর ওয়াজেদ জয়ের কার্য্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসাকরেন। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসাবে সকল ক্ষেত্রে রাষ্টীয় কাজে সামগ্রীক ভাবে প্রয়োগহয়েছে। বাংলাদেশ আজ ৫ম দেশ হিসাবে টেলিকমিউনিকেশন ক্ষেত্রে পরিক্ষামুলক ভাবে ৫জি চালু হয়েছে।একের পর এক বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সকল কার্য্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধিতিতে শুরু হয়েছে যার কারণেসাধারণ জনগনকে আর ঢাকায় আসতে হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পলিটেকনিকসহ সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তি ও সকল বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল আজডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রকাশ হচ্ছে।

বাংলাদেশ আজ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌছে গেছে। আগামী নির্বাচনে জয়ীহয়ে আর এক টার্ম ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম উন্নত দেশ হবে ইনশাল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা তারই তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়কেঅভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাদের এই অর্জনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরেছে। এটি একটি বিরল ঘটনা। এই কারণে যে, একইসঙ্গে মা এবং পুত্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদ্বিতীয়টি আর নেই। বাংলাদেশকে বিশ্বায়নের অনেক উঁচুতে আসীন করায় দেশের ১৬ কোটি আপামরজনসাধারণের সঙ্গে আমরাও সমানভাবে আনন্দে উদ্বেলিত এবং গর্বিত।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন , ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, জাতিরজনকবঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশন ২১ এবং এর সুফল বাংলাদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলেরমানুষ ভোগ করা শুরু করেছে। আজ গ্রাম আর গ্রাম নেই। কৃষি কাজেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। মুহূর্তেরমধ্যে তারা সবকিছুই জানতে পারছে। স্কাইপ, ইমু, টুইটার, ফেসবুক, ভাইবার বা লাইন-এর কথা আজগ্রামের খেটে খাওয়া মানুষও জানতে পারছে। দেখতেও পারছে। নিজেরাও আপডেট করতে পারছে। আরওসবের পিছনে প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শিতা নিয়ে নিরলসভাবে যিনি কাজ করছেন তিনি আমাদের জননেত্রীশেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। বাঘের চৌদ্দ পুরুষ বাঘ-ই হয়।

সবার প্রারম্ভে ১৯৭৫-এর ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, ডাঢা কেন্দ্রিয়কারাগারে চার জাতীয় নেতা, একাত্তর-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২- এর মহান ভাষা আন্দোলনসহ আজপর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরনে সভায় দাঁড়িয়ে এক মিনটি কাল নিরাবতা পালনকরা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামছুউদ্দীন আজাদ ,সভাপরিচলনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ । উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেনসাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন দেওয়ান ,আব্দুর হাসিব মামুন , প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম,মানবধিকার সম্পাদক মেজবাহ আহাম্মেদ , প্রবাসী কল্যান সম্পাদক সোলায়মান আলী, উপ প্রচারতৈয়বুর রহমান টনি, কার্ষকরি সদস্য আব্দুল হামিদ ,যুক্তরাষ্ট্র জাতীয শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজীআজিজুল হক খোকন ,সাধারন সম্পাদক জুয়েল আহাম্মেদ ,সেচ্ছা সেবক লীগের সহ আন্তর্জাতিকসাখাওয়াত বিশ্বাস ,সহ সভাপতি কবির আলী ,সহ সভাপতি অতুল প্রসাদ রায়, ওয়াহিদ কাজি এলিন সহঅঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত