শরণখোলায় বেড়ি বাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত

শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী এলাকায় উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি) মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মানাধিন প্রায় ২০০মিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসা কচুড়িপানায় কয়েকশ’ একর আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন শতাধিক ঘরবাড়ি, পাঁচ শতাধিক পুকুর তলিয়ে গেছে। এছাড়া ভেসে গেছে ঘেরের মাছ । বগী থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাধের অন্তঃত ১০টি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফসলের মাঠ থেকে পানি নামছে। বিতীর্ণ আমন ক্ষেতে কচুড়িপানায় ঢেকে রয়েছে। ভাঙন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় দুপুরে বহু পরিবারে রান্নাবান্না হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম মুন্সী (৬৫) বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ব্যাংক থেকে তিনি লাখ টাকা লোন নিয়ে আমনের চাষ করেছেন। বাঁধ ভেঙে তাঁর সব শেষ হয়ে গেছে।

চাষী জাকারিয়া (৩৫), আফজাল তালুকদার, কামাল পঞ্চায়েত (৩৮) বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বাঁধ ভেঙে বগী, দশ ঘর ও সাত ঘর গ্রামের প্রায় ৫০০ একর জমির আমন ক্ষেত পানির সাথে ভেসে আসা কচুড়িপানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নামলেও কচুড়িপানা জমিতেই রয়ে গেছে।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাতের জোয়ারে আারো পানির চাপ বেশি হবে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ আরো দুই-তিনটি পয়েন্ট ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিইআইপি প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনও নিরুপন করা হয়নি।