রামপালে নারী নির্যাতন মামলার ভিকটিম ৪ দিন ধরে স্বপরিবারে নিরুদ্দেশ

এম,এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৪:৫৭ পিএম, রোববার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ | ২১৩৯

রামপালে যৌতুকলোভী স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধু সুপ্রিয়া রানী পাল থানায় মামলা করায় অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় এবার স্বপরিবারে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৫ অক্টোবর রাতের কোন এক সময় ভিকটিম সুপ্রিয়া রানী পাল তার পিতা শিবপদ পাল, মাতা মিনতী রানী পাল, ছোট ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী সৌরভ পাল বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন। গত ৩ দিন ধরে তাদের কেউ কোন খবর দিতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ওই ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে ঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। সুপ্রিয়ার বড় কাকা গোবিন্দ চন্দ্র পাল ও ছোট কাকা বিষ্ণু কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, সুপ্রিয়ার বিয়ের সংক্রান্ত ঘটনায় তাদের সাথে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। তারা কোথায় গেছে তা তারা জানেন না বলে জানান।

সুপ্রিয়াদের পাশ্ববর্তী জান্নাত মেমোরিয়াল কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব শেখ কাদের বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, হঠাৎ করে তারা কাউকে কিছু না বলে নিরুদ্দেশ হয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। কেন তারা এমনভাবে কাউকে কোন কিছু না বলে চলে গেলেন বুঝতে পারছি না। সুপ্রিয়ার বাবা শিবপদ এর উপজেলার গিলাতলা বাজারে একটি প্রতিষ্ঠিত গার্মেন্টস এর দোকান ও রয়েছে।

পাশ্ববর্তী দোকানী উত্তম জুয়েলার্স এর মালিক উত্তম কুমার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ৩ দিন ধরে তিনি তার দোকোনে আসেন না। এ বিষয়ে বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার মুঠোফোনে জানান, ৫/৬ দিন পূর্বে শিবপদ বাবু ও তার পুত্র সৌরভ এসেছিল আমার কাছে। তারা এসে পাসপোর্ট ভিসার মাধ্যমে ভারতে গিয়ে চিকিৎসার কথা বলে গিয়েছেন তবে আসে পাশের কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হওয়াটা চিন্তার বিষয়।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নারী নির্যাতন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে রামপাল থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বিষয়টি আমরা খোজ খবর নিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের শিবপদ পালের কন্যা বাগেরহাট সদরের দক্ষিন খানপুর গ্রামের রনজিৎ পালের পুত্র নিতাই চন্দ্র পালের সাথে গত ইং ২৬/১১/২০১৫ তারিখ বিয়ে হয়। এরপর স্বামীর নির্যাতনের শিকার গৃহবধু সুপ্রিয়া গত ইং ৪ অক্টোবর রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী এসআই মিজানুর রহমান শনিবার রাতে নিতাই পালকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করার পর অপর আসামী পলাশ কুমার পাল ক্ষীপ্ত হয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করার পর এই নিরুদ্দেশের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারনা করছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত