মোরেলগঞ্জে আ. লীগের দুই নেতা হত্যা
চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ৫ আসামি রিমান্ডে
আপডেট : ০২:৩৯ পিএম, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮ | ১৮৮৮
মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি দলীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ৫ আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার আসামিদেরকে আদালতে তুলে হত্যা মামলায় আরো ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
থানার ওসি(তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ সকল আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ছাড়াও হত্যা মামলায় আজ সোমবার থেকে পুনরায় ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে আসামিদেরকে। রিমান্ডে থাকা অপর আসামিরা হচ্ছেন, ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ফকির, চৌকিদার আবুল শেখ, জুলহাস ডাকুয়া ও কামাল হোসেন।
অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আসাদুজ্জামান মিন্টু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এই মামলার সকল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃতসহ ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুকের ৩টি কার্তুজ, রিভলবারের ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ছোরা উদ্ধার হয়েছে। রিমান্ডে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
প্রসংগত, দলীয় কোন্দল ও ঘের বিরোধের জের ধরে গত ১ অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদার(৫২) ও যুবলীগ নেতা শুকুর আলী শেখ(৪০)কে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে একই দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় আনছার আলী দিহিদারের বসতবাড়ি ভাংচুর ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয় সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার কিছুক্ষন পরে পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তন থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদেরকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় ১০দিন করে মোট ২০দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালত দুই মামলায় ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।