রামপালে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধি ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:১৬ পিএম, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ | ৮৩৫

রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ফুলপুকুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের এক প্রতিবন্ধি ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল ১০টায় বনপরিবেশ ও জলবায়ূ পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার রামপাল থেকে মোংলা যাওয়ার সময় ওই স্কুলের সামনে পৌছালে স্থানীয় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি তার কাছে এ ঘটনার বিচার দাবী করেন। মন্ত্রী এ সময় এ ঘটনার যথাযথ বিচারের আশ্বাস দেন।

সরেজমিনে ওই বিদ্যালয় গিয়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে ঘটনার দিন গত ১৬/০৪/২০১৯ তারিখ বেলা ১১ টায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মরিয়ম সুলতানা রত্মা দ্বিতীয় শ্রেনীর কাস নিচ্ছিলেন। এ সময় তার ছেলে যাওয়াদ (৭) একটি বেঞ্চ টেনে মেঝেতে ফেলে দেয় । ওই বেঞ্চের উপর প্রতিবন্ধি ছাত্রী সীমা খাতুনের বই ভর্তি ব্যাগ ছিল, তা মেঝেতে পড়ে যায়। এতে তার একটা পেঞ্চিল বক্স ভেঙ্গে গেলে সে কেদে উঠে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষিকা মারিয়া সুলতানা ওই ছাত্রীর দুই চোয়ালে উপর্যুপরি চড়, থাপপর মারে।

এ ঘটনার পর খবর পেয়ে বেলা ১টা দিকে তার মামা প্রিন্স ইজারদার স্কুলে এসে প্রতিবাদ জানায়। এ দিকে ১৭ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে বনপরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হাবিনুন নাহার রামপাল থেকে মংলায় একটি কর্মসূচীতে যাওয়ার সময় ওই বিদ্যালয়ে সামনে পৌছালে স্থানীয় লোকজন তার কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ওই শিক্ষিকার উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন। মন্ত্রী এ সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। পরে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে তাৎক্ষনিক বদলী সহ তিন দিনের সময় সীমা বেধে দিয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবীর বলেন আপাতত তাকে শ্রেনী কক্ষে পাঠদান করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। মিটিং ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান শিক্ষক গোলাম রসুল বলেন এ ঘটনার সময় আমি উপজেলায় একটা মিটিং এ ছিলাম। খবর পেয়ে স্কুলে আসি। তাকে আপাতত পাঠ দান করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা মরিয়র সুলতানা রত্মার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি শুধু ওই মেয়েকে নয় আমার ছেলেকেও শাসন করেছি। এতে আমি অনুতপ্ত। আমার ভুল হয়েছে। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে ডাষ্টার দিয়ে আরও দুই তিনজন ছাত্র ছাত্রীকে তিনি মারপিট করেছেন বলে তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত