অসহায় মানুষের হাহাকার করুন ধ্বনির মধ্য দিয়ে মসজিদে প্রবেশ ও বাসায় আগমন!

গাজী ইলিয়াস

আপডেট : ০৯:২৩ পিএম, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০১৯ | ১৬১১

পালন করছি লাইলাতুল বরাত! শবেবরাতের রাত বলে নয় প্রতি শুক্রবার মসজিদে যাওয়া আসার সময়ও ভিক্ষার জন্য অসহায় মানুষের এ রকম হাহাকার করুন ধ্বনি শুনি । বড়ো সাহেবকে সম্বর্ধনা দেওয়ার মতো মসজিদের রাস্তার দু'ধারে শত ভিক্ষুক দাঁড়িয়ে থাকে। আর সাধারণ মানুষ সহ ধনী মধ্যভিত্ত তথা সমাজের সকলেই ভিক্ষুকদের হাহাকার করুন ধ্বনি শুনে মসজিদে প্রবেশ করে এবং এবাদত শেষে সে একই রকম ধ্বনি শুনে বাসায় আসে।

বিষয়টা আমাকে বারবার চিন্তায় ফেলে। এ কেমন? ধর্ম কি বলেছে? হুজুরের কি বয়ান শুনি? এবং নীজেও ছহি হয়ে মহান আল্লাহর কাছে কি বলি? এ সকল চিত্র ও ভিড়িও'র সাথে আমি এগুলো কে মিলাতে পারি না। তাই আজ রাতে এবাদত শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় অভিজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত ইংরেজির অধ্যাপক স্যারকে জিজ্ঞেস করছিলাম, এই যদি চিত্র হয় তাহলে আমাদের ক্ষমা চাওয়া ও দোয়ার কি পরিণতি হবে? কারণ দীর্ঘকাল যাবত দেশের জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীর প্রায় সকল মসজিদের সামনের রাস্তায় এ চিত্র বিদ্যমান।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মসজিদের সামনেও কম বেশি একই অবস্থা। সমাজে দীর্ঘকাল এ চিত্র বিরাজমান থাকলে দোয়া কবুল নিয়ে প্রশ্ন কি উঠে না? কারণ হুজুরগন বলেন প্রতিবেশীর এ রকম অবস্থা থাকলে সামর্থ্যবান লোকদের এবাদত বা দোয়া নাকি কবুল হবে না। কারন অসহায় মানুষের খোঁজখবর নাকি নিতে হয়। এ বিষয়ে ধর্মীয় বাধ্যবাদকতা আছে। এ সকল ভিক্ষুক বা মানুষজন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উঠে আসা। এটাও সত্য দেশের সব সমাজ বা অঞ্চলে সামর্থ্যবান মানুষজনও আছে। তাহলে তাঁরা কি ধর্মের হক কথা মানছে না? ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেশীর হক নিশ্চয়ই আমরা ঠিকমতো আদায় করছি না? আদায় করলে কি এ চিত্র হতো? কখনো নয়। মা বাবার চেয়ে বয়সী মুরব্বী মা বাবাসহ অসহায় মানুষ ও ছোট ছোট শিশুদের মসজিদে যাওয়া আসার সময় হাতে পায়ে ধরে দুই চার দশ টাকার জন্য যে হাহাকার শুনি তাতে আমি আমাদের এবাদত কবুল নিয়ে সন্দিহান। এ সকল ভিক্ষুকগন কি আমাদের ধর্মীয় নিয়ম না মানার কারণেই সৃষ্ট নয়? আমরা ধর্মীয় অনুশাসন মানলে কি এ সকল অসহায়কে এভাবে দেখতে পেতাম? প্রশ্ন রাখি দেশের ইমাম মুয়াজ্জিনসহ সকলের কাছে?

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত