অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ

মোংলায় ক্ষমতাবান প্রধান শিক্ষক

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ১১:৫১ এএম, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯ | ১১০১

মোংলায় খাসেরডাঙ্গা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষমতাবান প্রধান শিক্ষক ভবেষ চন্দ্র হাওলাদার। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও রাজনৈতিক ক্ষমতাবলের কারনে ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। উল্টো তার পক্ষোনিয়ে অভিযোগ থেকে প্রতিকার পাওয়ার পরার্মশ দিচ্ছে উপজেলা শিক্ষা অফিস বলে ও অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসী মৌখিক বা লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯১ সালে প্রধান শিক্ষক ভবেষ চন্দ্র ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। নিয়মিত স্কুলে না এলেও হাজিরা খাতায় তার স্বার বিদ্যমান থাকে। আবার বিদ্যালয়ে এলেও পাঠদান কে প্রবেশ না করে স্নেহভাজনদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। সরকারের নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে বিকাল ৪টার স্কুল ১১ টায় ছুটি দিয়ে চলে যান প্রধান শিক্ষক ভবেষ চন্দ্র। প্রায় সময় তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসের কাজের কথা বলে নিজের ব্যাক্তিগত কাজ করেন বাসায় বসে।

এছাড়াও শিক্ষা অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে আতায়াত করে কাছের শিক্ষকদের অন্য স্কুলে বদলী আবার দুরের শিক্ষকদের কাছের স্কুলে বদলী বানিজ্যে মেতে থাকে বলে ও অভিযোগ রয়েছে। তার এ কর্মকান্ডে স্কুলের অন্য শিকরা আপত্তি জানালে তাদের সঙ্গে অশালীন আচারণ করেন প্রধান শিক ভবেষ। এছাড়া শিার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভর্তি ফি, সমাপনী পরীার সনদ বাবদ অর্থ নেয়া, পরীায় অতিরিক্ত ফি আদায় এবং জন্মনিবন্ধন প্রত্যয়ন প্রদানে অর্থ নিয়ে থাকেন তিনি। তার এ অনিয়ম নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হয়ে থাকে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

বিদ্যালয়ের পুরাতন বই, আসবাবপত্র বিক্রি করে সেই অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালেয় বার্ষিক বরাদ্দ স্লিপের অর্থ যথাযথভাবে খরচ না করে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সমুদয় অর্থ নিজেই আত্মসাৎ করেন। এমনকি পুরাতন বিদ্যালয়ের পানির ট্যাংকি, সৌর প্যানেলসহ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় মালামাল নিজের বাসায় ব্যবহার করছেন। স্কুলের পরিচালনা কমিটিতে তার হস্তপে থাকায় পাঠদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে বলেও অভিবাবক ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এর আগে এর অনিয়ম ও দুর্নীতির অবিযোগ তদন্তে সত্যতা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস।

এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক ভবেষ চন্দ্র বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানায়, আমি স্কুলের সবকিছু সঠিক প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করছি। তবে গত ১৫ এপ্রিল ছুটি চেয়ে ছিলাম কিন্ত কর্মকর্তারা ছুটি না দেয়ায় ছাত্র/ছাত্রীদের মতামতে ওদিন সকাল সাড়ে ১১টায় ছুটি দেয়া হয়েছে। এনিয়ে আমাকে সোকাজ ও করা হয়েছে। এনিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুমোন্ত কুমার পোদ্দার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, প্রধান শিক্ষক ভবেষ চন্দ্রের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ পেয়েছি কিন্ত গত ১৫ এপ্রিল অফিসকে না জানিয়ে ১১টায় স্কুল ছুটি দিয়ে বাড়ী চলে যায়। খবর পেয়ে বিদ্যালয় লোক পাঠানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত