চিতলমারীতে শিশু খালিদের দাফন সম্পন্ন: ১০বাড়ি ভাংচুর

চিতলমারীতে অপহরণের পর নিহত শিশু খালিদ তালুকদারের (৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় চৌদ্দহাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের সবুর তালুকদারের মৎস্য ঘের থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খালিদ তালুকদার চৌদ্দহাজারী গ্রামের মো. কাওছার আলী তালুকদারের ছোট ছেলে।

কাওছার আলী তালুকদার চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ। শিশু খালিদের নিহতর ঘটনায় বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন মহল শোক জানিয়েছেন। অপরদিকে, সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা আসামী পক্ষের ১০টি বসত-বাড়ি ভাংচুর করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চৌদ্দহাজারী ঈদগাঁ মাঠে কয়েকজন শিশুর সাথে খেলা করছিল খালিদ তালুকদার। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে রবিবার (১৬ জুন) খালিদের পিতা কাওছার তালুকদার বাদি হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় এজাহার নামীয় চৌদ্দহাজারী গ্রামের বাদশা তালুকদার, কামরুল শেখ এবং মেরি বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এ ঘটনার পর সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের সবুর তালুকদারের মৎস্য ঘের থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় চৌদ্দহাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় এবং বাড়ির সামনে মসজিদের পাশে পারিবারিক গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) অনুকুল সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের চেস্টা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অপরদিকে, নির্মম ভাবে শিশু খালিদকে হত্যার ঘটনায় শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল হোসেন খান ও সাধারন সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায়। এছাড়া ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন মহল শোক বিবৃতি দিয়েছেন।