মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া ও পিরোজপুর জেলার সীমান্তে

মাদক সম্রাট সালাম বাহিনীর রমরমা ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৪:৩২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৭ | ২০৪২

জেলার সীমান্ত এলাকায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। আইনশৃংখলা বাহিনী বহুবার অভিযান চালালেও থামাতে পারেনি এ ব্যবসা। মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের বালিয়াডাঙ্গার মৃত আরব আলী ফকিরের ছেলে আঃ সালাম ফকির দুই ডজন মামলার আসামী। এলাকায় মাদক সম্রাট বলে পরিচিত, স্ত্রী, কন্যা, পুত্র, জামাই, ভাগ্নী, ভাই সহ চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিগত এক যুগ ধরে এই সালাম ফকির ও তার আতœীয় স্বজন মিলে উঠতি বয়সি ছেলে মেয়ে, যুব সমাজকে ধ্বংস করেই চলছে। তাদের দাবী সালাম স্থানীয় এজেন্ট হিসাবে সাতরিা, যশোর এবং চট্টগ্রাম থেকে গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিল আমদানী করে। সে নিয়মিত খুচরা বিক্রয় সহ পাইকারী বিক্রয় করে থাকে। এসব বিষয় নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা, তাদেও নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের ব্যবসা। সে বিভিন্ন সময় তাদেরকে ভুড়ি ভোজ করান বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার এই বিশাল ব্যবসার সহযোগী হিসাবে সার্বণিক ভাবে সাহায্য করে থাকেন স্ত্রী শাহানারা বেগম, ছেলে মোঃ বেল্লাল ফকির, মেয়ে, জামাতা মাফুজ, ভাতিজী ও তার স্বামী ইব্রাহীম হাওলাদার ও হোগলাপাশা গ্রামের ধীরেন শিকদারের ছেলে রিপন শিকদার এবং কচুয়া উপজেলার ভাগ্নে সহ আরো অনেকে। এর আগে মাদকের চালান সহ অনেকবার কচুয়া, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জের পুলিশ ও মাদক দ্র্ব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে আটক হওয়ার পর ও পুনরায় ওই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সে মাদক ফেলে পালিয়ে যেতেও সম হয়েছে একাধিক বার।

সালামের নেতৃত্বেই বাধাল বাজারের আশপাশসহ রামপুর, বলভদ্রপুর, বালিয়াডাঙ্গা, মহিষপুরা বাসষ্ট্যান্ড ও খেয়া ঘাট, চিংড়াখালী বাজারে, পিরোজপুর বলেশ্বর ব্রীজের নিচে ফাইভ স্টার ইট ভাটার আশেপাশে, গোবিন্দপুর, মধুরকাঠী, নব্বইরশি, পোলেরহাট, দৈবজ্ঞহাটী, যশোরদী, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা বৈরাগীর ব্রীজ, ফতেপুর, বারইখালী, কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ, নব্বইরশি বাসষ্ট্যান্ড, পাঁচগাও বাজার, কালুর হাট বাজার, চন্দ্রপাড়া, ফুলতলা সহ ছোট বড় অনেক স্পটে চলছে এ অবৈধ ব্যবসা। সেখানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেনাবেচা হয় ও মোবাইলের বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ আছে।


এলাকার উঠতি বয়সি ছেলেমেয়েরা ধ্বংস হতে চলেছে তারই কারণে। মাদক সম্রাট সালাম ভ্যান চালক থেকে মটর সাইকেলের মালিক, কুড়ে ঘর থেকে পাকা ঘরের মালিক। এছাড়া তিনি অনেক বিত্তশালী বৈভবের মালিক বনে গিয়েছেন।তিনি এতটাই প্রভাবশালী যে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে তাকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মালমা দিয়ে হয়রানি করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল কবির বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি, তবে আমার থানা এলাকায় কেউ মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমনকি তার বিরুদ্ধে দুুই একটি মামলার বিচার শেষ হয়েছে। যার সাজার মেয়াদ ও শেষ হয়েছে। জি. আর ৫৪/১১ (মোড়েলগঞ্জ) সাজা শেষ। (সালাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিম্নের মামলাগুলি বিচারাধীন রয়েছে।)

মোড়েলগঞ্জ থানার মামলা নং ২৪/১৭৮, তারিখ ২০/০৬/০৬, ১১/২০৫, তারিখ ২৭/১১/০৭, ০৪/৪০৭, তারিখ ০৫/১১/০৯, ০৯/৪২, তারিখ ০৯/০২/২০১১, ২০/৩৩১, তারিখ ১৪/১২/১১, ৩৩/২৯৯, তারিখ ২৬/০৮/২০১৫, ৩৯/৯৩, তারিখ ২২/০২/১৭। কচুয়া থানার মামলা নং ০৪/৬৯, তারিখ : ০৫/০৭/২০১০, ০৭/৩৬, তারিখ ১১/০৩/২০১৭।

চি‎িহ্নত মাদক সম্রাট আ: সালাম ফকির ও তার সহযোগীদের মাদকের ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তোক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত