বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

বাগেরহাটে টয়োফিড লিমিটেড কোম্পানীর নিম্নমানের খাবারে সর্বশান্ত ব্যবসায়ী ও খামারী

নকীব মিজানুর রহমান

আপডেট : ০৯:৫৯ পিএম, রোববার, ২১ জুলাই ২০১৯ | ১৯৭০

টয়োফিড লিঃ (জিডিফিড) কোম্পানী কর্মকর্তাদের প্রতারনায় নিম্নমানের খাবার সরবরাহে সর্ব শান্ত হয়েছে বাগেরহাটের সদর উপজেলার পল্ট্রি ফিট ব্যবসায়ী ও খামারী।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সদর উপজেলায় সুন্দরঘোনা গ্রামের মোঃ ইসহাক শেখের পুত্র মোঃ মিলন শেখ। স্বত্তাধিকারী মিলন ফিসফিড মালিক গত ইং ০৪ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে টয়োফিড লিঃ রূপায়ন, তাজ, স্যুট, এইচ-৩১, ১/১ নয়া পল্টন, ঢাকা-১০০০ এর খুলনাস্থ ডিপু অফিসের খুলনা মেইন রোড জিরো পয়েন্ট শাখার এজিএম মোঃ মাসুদ হোসেন ও ফিল্ড অফিসার সেলিম হোসেনের সাথে ব্যবসায়ীক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। উক্ত কোম্পানীর সহিত ব্যবসা করিতে হইলে কোম্পানীর নিয়ম ও শর্ত মোতাবেক স্বাক্ষরিত ২ টি ফাকা চেক কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করতে হয়। সেই মোতাবেক কোম্পানী ৭ জানুয়ারী ও ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে চালানের মাধ্যমে খুবই নি¤œ মানের খাবার সরবরাহ করায় তার কম পক্ষে ৬ হাজার মুরগী মারা যায়। ইহাতে আনুমানিক ৮ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ইহা ছাড়া তার নিকট হতে পল্ট্রি ফার্মের চাষীগণ খাবার নেওয়ায় একই রূপ তাহাদের ও ৪ হাজার মুরগি মারা যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। তাৎক্ষনিক মুরগী মারা যাওয়ায় কোম্পানীকে অবহিত করেন।

এক পর্যায়ের কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঐ সময়ে সরেজমিনে হাজির হয়ে মুরগী মরা দেখে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষতি পূরন দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু কোম্পানীর কর্মকর্তাগন ক্ষতিপূরন দিবো দিবো করে কালক্ষেপন করতে থাকে। যার কারনে তার নিকট হতে পল্ট্রি ফার্মের চাষীরা বিক্রয়কৃত খাবারের অর্থ দিতে অপারগতা জানায়। একপর্যায়ে তার স্বাক্ষরিত ফাকা চেক দুটি থেকে একটি ব্যাংকে জমা করেন। সমুদয় অর্থ মিলন শেখের হিসাবে না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করেন। পরবর্তীতে কোম্পানী ঐ চেকে মনগড়া টাকার অংক বসিয়ে ১৮ লক্ষ টাকার বিপরীতে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ শেষে তার নামে আদালতে মামলা করেন এবং তাকে বিভিন্ন সময় ভয়ভিতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। এছাড়া পুলিশ দিয়েও নাজেহাল করেছে বলে অভিযোগ করেন। মিলন শেখ অভিযোগে ।আরো জানান, উক্ত টয়োফিট লিঃ ডিজিফিট কোম্পানীর নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করায় আমিসহ বাগেরহাট মেইন রোডে অবস্থিত সুপ্র এন্টারপ্রাইজের প্রদীপ সমদ্দার ও বাগেরহাট সোনাতলার নৌশি পল্ট্রী এন্ড ফিস ফিড এর প্রোপ্রাইটর মোঃ মিজানুর রহমানসহ আরও অনেকে সর্বশান্ত হয়ে জিডিফিড কোম্পানীর প্রতারনার মামলা থেকে পরিত্রাণ ও ফাকা চেক ফেরত পেতে পরিচালক দূর্নীতি দমন কর্মকর্তা, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন অধিদপ্তর মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রাণালয় ঢাকা, বাংলাদেশসহ আরও অনেক দপ্তরে টয়োফিড কোম্পানীর কর্মকর্তাদের নামে অভিযোগ করেন। এবিষয়ে (যার সাথে চুক্তি করেন) খুলনার অফিসের এ জিএম মোঃ মাসুদ হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানীর খাবার ল্যাবে টেষ্ট করে দেখান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত