প্রথম দেখাতে পুকুর-জলাশয় মনে হলেও এটি আসলে মহাসড়ক!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০২:১৫ পিএম, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯ | ১৫৩১

প্রথম দেখাতে পুকুর বা জলাশয় মনে হলেও এটি একটি মহাসড়ক। কার্পেটিং উঠে সড়কের ২০০ফুট এলাকা জুড়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে আশপাশ এলাকার সমস্ত নোংরা ময়লা পানি এসে জমে এখানে। নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সব সময় হাঁটু পানি থাকে। প্রায় দুই বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। দৃশ্যটি শরণখোলা উপজেলা সদরের ব্যস্ততম পাঁচরাস্তা মোড়ের। এটি বাগেরহাটের সাইবোর্ড-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের অংশ।

এনিয়ে বাস মালিক সমিতি ও এলাকাবাসী একাধিকবার বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে অভিযোগ করেও কোনো ফল হয়নি। ফলে যানবাহন ও সাধারণের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

শরণখোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ খালেক খান, ইউপি সদস্য জালাল আহমেদ রুমি, ব্যবসায়ী বিলাস রায় কালুসহ স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনবহুল। এখানে কয়েকশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সড়কের এমন দুরাবস্থায় ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। ভারী যানবাহন চললে সড়কের নোংরা পানিতে তুফান সৃষ্টি হয়ে সব দোকানপাট এবং পথচারীদের গায়ে এসে লাগে। কিছুদিন আগে আল মামুন নামের এক ব্যবসায়ী মোটরসাইকেল নিয়ে গর্তে পড়ে হাত ভেঙ্গে যায়। এভাবে প্রতিদিন মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যানরিকশা দুর্ঘটনা ঘটছেই। বদ্ধ পানির পচা দুর্গন্ধে টেকা যায়না। অথচ কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো খেয়াল নেই।

মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা-মংলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, শরণখোলার পাঁচরাস্তাসহ আঞ্চলিক মহাসড়কের আরো বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এতে যানবাহন ও মানুষের চালাচলে মারাত্মক সমস্য দেখা দিয়েছে। বিয়টি বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে কয়েকবার জানানো হয়েছে কিন্তু তারা কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এ ব্যাপারে সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি নিষ্কাশ করে মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করা হবে।

জানতে চাইলে বাগেরহাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, শিগগিরই ওই স্থানে জরুরী ভিত্তিতে ইট সলিং করে চলাচলের উপযোগী করা হবে। শুকনা মৌসুমে ওখানে পূর্ণাঙ্গ কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত