অসহায় সেই আল্লাদীকে পাকা ঘর উপহার দিলেন ইউএনও

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০২:০৪ পিএম, বুধবার, ১৪ আগস্ট ২০১৯ | ৭১৮

কাঠ-মাটির ঘরে থাকতাম। ঠিকমত ঘুমাতে পারতাম না। বৃষ্টি হলে, শরীরে পানি পড়ত। খুব কষ্ট হত। কখনও ভাবতে পারিনি দালানে থাকব। ইউএনও স্যার দালান করে দিয়েছেন। এখন সেখানে একটু শান্তিতে থাকতে পারব। যারা আমাকে শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তোমাদের ও ঠাকুর শান্তিতে রাখবে। এই বলে চুপ করে ছিলেন আল্লাদী রানী পাল। পাশে থাকা আল্লাদীর মেয়ে রাধা রানীর চোখ বেয়ে পানি পড়ছিল, সে যেন আবেগ আল্পুত হয়ে পড়ে পরিবারটি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মিত নিজের ভবনে (একতলা বিশিষ্ট দালান) বসে এসব কথা বলছিলেন সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের শতবর্ষ বয়সী অসহায় আল্লাদী রানী পাল।

এর আগে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে আল্লাদী রানীর ঘর উদ্বোধন করেন। এসময় বাগেরহাট সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আল্লাদীর মেয়ে রাধা রানী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমাদের ঘরের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হত। রোদ, ঝর, বৃষ্টিতে মাঝে মাঝেই মা অসুস্থ্য হয়ে যেত। টিএনও সাহেব আমাদের একটি ঘর করে দিয়েছে। এখন এখানে শান্তিতে থাকতে পারব। এছাড়া ও আর্থিক সহযোগিতা ও করেছেন যা দিয়ে মাটির টালি তৈরির জন্য একটি ঘরও তৈরি করেছি।

প্রতিবেশী উজ্জল পাল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, চোখের সামনে দেখেছি আল্লাদী অনেক কষ্ট করে বসবাস করত। টিএনও সাহেব তাকে একটি দালান করে দিয়েছেন। তা দেখে আমদের ভাল লাগছে।

এর আগে ৮ মে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান আল্লাদীর দায়িত্ব নেন। পরে ৯ মে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান আল্লাদীর বাড়িতে যান, বয়স্ক ভাতার কার্ডসহ নগদ অর্থ প্রদান করেন। তখন আল্লাদীকে একটি ঘর করে দেওয়ার প্রশ্রুতি দেন।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তানজিল্লুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আল্লাদীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আমার বিবেকে নাড়া দেয়। তাৎক্ষনিক আমি আপনাদের সাথে নিয়ে সরেজমিনে আসি। সরেজমিনে এসে আল্লাদী পরিবারের সাথে কথা বলে দেখলাম তার ঘরটি খুবই খারাব ও তার একটি মেয়ে আছে বিয়ে হয়নি সেই চিন্তা থেকে আমার ইচ্ছা হলো তাদের বসাবসের জন্য একটি ঘর তৈরী করে দেয়া। তাদের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত