স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটে আসক্ত হচ্ছে কিশোর-কিশোরী

শেখ শাহিনুর ইসলাম শাহিন, মোল্লাহাট

আপডেট : ০৪:৪৫ পিএম, শনিবার, ২৪ আগস্ট ২০১৯ | ৪১৫৬

সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের অপ-ব্যবহারে দেশের কিশোর-কিশোরী আসক্ত হয়ে পড়েছে। এর মূল কারন হলো ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউব, টিকটক এর অপ-ব্যবহার । বর্তমানে দেশে প্রায় নয় কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এর প্রায় অধিকাংশই কিশোর-কিশোরী।

বর্তমান সরকারের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সরকার বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত করেছে। এখন এই ডিজিটালের ছোয়া শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যনÍ পৌছে গেছে। মানুষ ইচ্ছা করলে ঘরে বসে আবহাওয়ার খবর, কৃষি, স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি, পরীক্ষার ফলাফল সহ দেশ বিদেশের নানা খবর মূহুর্তের মধ্যে জানতে পারছে। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন চাকুরীর আবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ছাড়াও নানা গুরুত্বপুর্ণ কাজে ব্যবহার করছে ইন্টারনেট।

কিন্তু বর্তমান সময়ে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীরা স্মার্টফোন হাতে পেয়ে দিন ও রাতের অধিকাংশ সময় তাদের কাটে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইউটিউব নিয়ে। রাত জেগে এগুলো ব্যবহারের ফলে তারা ঘুমানোর সময় পায়না ,অতিরিক্তি রাত জাগার ফলে তারা বেশীর ভাগ সময় অসুস্থ্য থাকে। যার প্রভাব পড়ে তাদের লেখা পড়ার উপর।

এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের আর,পি (মেডিশিন বিশেষজ্ঞ) ডা.শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, শুধু রাত জাগা না মানসিক স্বাস্থ্যের ও প্রচন্ড আঘাতহানে, সাথে সাথে শারীরিক সমস্যা যেমন মেজাজ খিট খিটে হয়ে যাওয়া, সৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, খাদ্যাভাসের পরিবর্তণ হওয়া, খাবারে অরুচি, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া শ্রবনশক্তি লোপ পাওয়া সহ মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুকির আশঙ্কা থাকে।


মোল্লাহাটের ডি,কে ,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে এসে পড়া বলতে পারেনা, ক্লাসে অমনোযোগী থাকে। তাদের চোখে মুখে ঘুম ঘুম ভাব থাকে। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করতে পারে না , অভিভাবকেরা স্কুলের মিটিং এ হাজির হয়না। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের এ অপব্যবহার থেকে যদি তরুন সমাজ বেরিয়ে আসতে না পারে তাহলে তরুণ সমাজ এক সময় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পেীছে যাবে, তখন আর তাদের ফিরে আসার উপায় থাকবেনা।


তরুণদের যতটা সম্ভব স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। তা না হলে তার মানসিক স্বাস্থের ওপর প্রভাব পড়বে। যদি তরুণদের হাতে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন দিতে হয়, তা ফিচার ফোন হলে ভাল। স্মার্টফোন দিলেও তা কতক্ষণ কোন অ্যাপস ব্যবহার করবে , তা নির্ধারণ করে দিতে হবে। রাতে তারা যাতে ঠিকমতো ঘুমায়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কিশোর বয়সীরা যাতে দিনে কোন ভাবেই এক থেকে দেড় ঘন্টার বেশী স্মার্টফোন না ব্যবহার করে, সেদিকে অভিভাবকের খেয়াল রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত