রামপালের সামাজিক বন বিভাগের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ কেটে উজাড়

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:২৬ পিএম, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৯ | ৫৮৮

রামপাল উপজেলার সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের মূল্যবান গাছ উজাড় করার অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগের তদারকি ও নজরদারি না থাকায় এক শ্রেণির অসাধু চক্র বনায়ন প্রকল্পের মূল্যবান বড় বড় গাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে ও এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানাগেছে, বাগেরহাটের সামাজিক বন বিভাগ ৯০-এর দশকে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলার বেশকিছু এলাকার রাস্তা ও নদীর পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করে। এসব প্রকল্পের মধ্যে কিছু এলাকায় উপকারভোগীদের মাধ্যমে এ বনায়ন করা হয়। উজলকুড় ইউনিয়নের আওতাধীন গোবিন্দপুর এলাকার দাউদখালী নদী সংলগ্ন ভেড়ীবাঁধ ও নদীর পাড়সহ ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ কিলোমিটার এলাকায় ১২ হাজার চারা রোপন করা হয়। ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে গোবিন্দপুর খেওয়াঘাট হতে গোবিন্দপুর মধ্যপাড়া পর্যন্ত ১ কিঃ মিঃ রাস্তার পাশে ১ হাজার, ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে কুমারখালী থেকে মাইনের শিষা পর্যন্ত ৬ কিঃ মিঃ রাস্তায় ৬ হাজার চারা ও ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে ¯ুইস গেট থেকে কুমারঘাটা পর্যন্ত ৫ কিঃ মিঃ রাস্তার পাশে ৫ হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়। এসব গাছের মধ্যে রয়েছে, আকাশমনি, শিরিষ, শিশু, বাবলা ও মেহগুনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ।

স্থানীয় একটি প্রভাবশালী অসাধু চক্র প্রকাশ্যে এসব মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করে আসছে। মাসাধিক পূর্বে বন বিভাগের সদস্যরা কর্তনকৃত বেশ কিছু গাছ জব্দ করে নিয়ে গেলেও বন খেকোদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। জানাতে পারেনি জব্দকৃত গাছের মূল্যমান। ৩টি প্রকল্প থেকে কি পরিমান গাছ চোরেরা কর্তন করে বিক্রি করেছে সে তথ্যও জানাতে পারেনি। তবে স্থানীয় একটি সূত্র ও উপকারভোগীদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাদি গংরা এসব গাছ প্রকাশ্যে কেটে বিক্রি করলেও তারা প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। তারা আরও জানান বিভিন্ন সময়ে ওইসব প্রকল্প থেকে ৮থেকে ১০ ল টাকা মূল্যের গাছ কেটে নিয়েছে ওই চক্রটি।


এ ব্যাপারে বাগেরহাটের সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার চিন্ময় মধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ওই ৩টি প্রকল্পের মধ্যে ১টি প্রকল্পের কিছু গাছ চোরেরা কেটে নিয়েছে, কিছু গাছ জব্দ করা হয়েছে, তবে কি পরিমান গাছ এ পর্যন্ত কেটে নিয়েছে ও জব্দকৃত গাছের মূল্যমান কত তা তিনি জানাতে পারেননি। তিনি আরো জানান, জব্দকৃত গাছ নিলামে বিক্রয় করে উপকারভোগীদের অংশ প্রদান করা হবে। বন বিভাগের কোন গাফিলতি আছে না বা কারা এই চুরির সাথে জড়িত তা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত