উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর মন্দির

৬৫০টি প্রতিমা তৈরীতে চলছে রং তুলির কাজ

ফকিরহাট সংবাদদাতা

আপডেট : ১০:১০ পিএম, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৯৪২

হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর মন্দির

বাগেরহাটের হাকিমপুরের শিকদার বাড়ীর দূর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষের পথে, চলছে রং তুলি আর নানা রংয়ের সাজ সজ্জার কাজ। সারা দেশের সাড়া জাগানো এই মন্দিরে এবার ৬৫০টি প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। স্বারদীয় দুর্গাৎসব পালিত হবে অন্যান্য বছরের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন রুপে। অনেকের মতে এই মন্দিরে প্রতিমা আর সাজ সজ্জার এটি হবে উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ।


জানা গেছে, সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর আর কলি যুগের বিভিন্ন অবতারের কাহিনী নিয়ে এবারও মন্দিরকে সুসজ্জিত করা হচ্ছে। গত ১লা বৈশাখ থেকে খুলনার কয়রা উপজেলার হাতিয়াডাঙ্গা গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ বাছাড় এর নেতৃত্বে ১৫জন ভাস্কর দিন রাত অকান্ত পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন, যা এখন শেষের পথে। অধিকাংশ প্রতিমা রংয়ের কাজ শেষ হলেও মুল প্রতিমা অর্থাৎ মা দুর্গার রংয়ের কাজ এখনো শুরু হয়নি।

চোঁখ ধাধাঁনো সব প্রতিমা আর রং বে-রঙের সুসজ্জিত করে মন্দিরকে যেন মুখরিত করে তোলা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরীর কাজে নিয়োজিত ভাস্কর বিজয় কৃষ্ণ বাছাড় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, কলিকাতার সীতারাম এর গীতা প্রেস এর বই হতে সংগৃহীত সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর আর কলি যুগের বিভিন্ন অবতারের লীলা কাহিনী নিয়ে এবারও প্রতিমা গুলি তৈরী করা হয়েছে। যা ভক্তদের মনকে আরো পুলকিত এবং আকৃষ্ঠ করে তুলবে।

তিনি বলেন, এখানে রয়েছে বিশ্বামিত্রের সঙ্গে শ্রীরাম-লন, তাড়কা-সংহার, বিশ্বামিত্রের যজ্ঞ-রা, অহলা উদ্ধার, পূষ্পে বটিকাতে শ্রীরাম-লন, রঙ্গভূমিতে দুই রাজ কুমার, স্বয়ংবর সভায় লণের রোধ, ধনুক ভঙ্গ, চার কুমারের বিবাহ, মন্থরার কু-শিা, পিতার বাক্য পালন, সীতার উপদেশ-বন গমন, মাঝির ভাগ্য ও চিত্রকুটের শোভা সহ নানান কাহিনী নিয়ে বিশাল মন্দিরটিকে সুসজ্জিত করা হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, মনু-শতরুপাকে বর দান, দেবতাদের প্রার্থনা, শ্রীরামাবতার,সচ্চিদানন্দের দ্যোতিষী, দশরথের ভাগ্য, ধনু বিদ্যার অভ্যাস, সখ্যদের সঙ্গে শিকার সহ সতেরোটি বাল্য লীলার কাহিনী রুপায়িত করা হয়েছে। মন্দির কমিটির কয়েকজন সদস্য বলেন, মন্দিরের ভিতরে বিভিন্ন দেব দেবীর ৬৫০টি প্রতিমা তৈরী করা হলেও বাইরে অর্থাৎ পুকুর পাড়ে বিশাল আকৃতির প্রতিমা তৈরী করা হবে। যে গুলি শুধু মাত্র রং সোলা আর লাইটিং দিয়েই তৈরী করা হচ্ছে।

শিকদার বাড়ী পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি ও প্রধান পৃষ্টপোশক ডাঃ দুলাল কৃষ্ণ শিকদার এর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, ২০১১সাল হতে তারা এই মন্দিরে স্বারদীয় দুর্গা পূজা শুরু করেন। তার পর হতে ধারাবাহিক ভাবে এই ৭ম বার অন্যান্য বছরের তুলনায় জাকজমক পূর্ণ ভাবে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস ও জেলা পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সহ আইন শৃংখলা কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন কর্মকর্তারা প্রতিমা তৈরীর কাজ ইতোমধ্যে পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর ধারনা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মন্দিরে প্রতিমা সংখ্যা বেশি ও সাজ সজ্জার কাজ সুসজ্জিত হচ্ছে ভিন্ন আংগিকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত