বুলবুলে বরাদ্ধকৃত চাল পায়নি ক্ষতিগ্রস্তরা, জন প্রতিনিধিদের ক্ষোভ

মোল্লাহাটে ঘূর্নিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণের মাঝে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হয়নি। বরং বরাদ্দকৃত ১০ মেট্রিকটন চাল সকল নিয়ম ভেঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আসিফের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জনপ্রতিনিধিরা।

তবে মোল্লাহাট উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে বরাদ্দকৃত ওই চাল এখনও উত্তোলন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজ পারভীন। এদিকে জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় বরাদ্দকৃত ওই চাল আড়াই মাসেও কেন ক্ষতিগ্রস্থরা পেলনা তাই নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।

মোল্লাহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হায়দার মোল্লা বলেন বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে তাৎক্ষনিকভাবে খাদ্য সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলেন। আমরা শুনেছি মোল্লাহাটের মানুষের জন্যও ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষরা এই চাল পায়নি। আর কোন দিন পাবে কিনা তাও বলতে পারি না।

উপজেলা সদরের উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসকে হায়দার মামুন বলেন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর আমার ইউনিয়নে ৭০টি ঘর সম্পূর্ন এবং ২‘শ টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হলেও, সকলে ঠিক মত পায়নি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বরাদ্দ ৩০ কেজি চাল এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমরা জানতে পেরেছি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা তার কার্যালয়ের অফিস সহকারি আসিফের নামে ওই ১০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

চালের বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা কার্যালয়ের অফিস সহকারি আসিফের নামে ১০ টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাল উত্তোলন করেনি তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম সজলের কাছে একাধিকবার ফোন করা হলে সংবাদকর্মী শুনে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে তিনি তার মুঠোফোনটি বন্ধ করে দেন।

চাল বরাদ্দের বিষয়ে কথা বলার জন্য মোল্লাহাট উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।